ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৫:২২:৩৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

সংসদ ভাঙায়, সেনা মোতায়েনে জাসদের ‘না’

| ২৩ আশ্বিন ১৪২৪ | Sunday, October 8, 2017

 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে মত দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব মত দেয় দলটি।

মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

মতবিনিময়ে যোগ দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক দলের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল। এ সময় তাঁরা ১৭ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।

সভা শেষে হাসানুল হক ইনু বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন হতে হবে। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন আছে বলেও তাঁরা মনে করেন না। আর নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে, সেটি যেহেতু নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত নয় তাই এ বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আলাপ করেননি।

এ সময় সাংবাদিকরা ইনুর কাছে জানতে চান, তিনি কী মনে করেন যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে?

জবাবে এই নেতা বলেন, ‘আমরা আশাবাদি। গত নির্বাচনে যারা ভোট বর্জন করে আগুন সন্ত্রাস করেছে। তারা এবার সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে মনে করি।’

মতবিনিময়ে জাসদ যেসব সুপারিশ তুলে ধরে সেগুলো হলো - নতুন করে আদম শুমারি প্রতিবেদন না হওয়ায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে দশম সংসদীয় আসনের সীমানা বহাল রাখা, ইভিএম ব্যবহার করা, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা রাখা, নির্বাচনী প্রচারের জন্য দলকে অনুদান দেওয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থীতায় এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর দেওয়ার বাধ্যবাধকতরা বাতিল, প্রার্থীদের হলফনামা দেওয়ার বিষয়টি বাতিল করা, জামায়াতের কেউ যেন বিএনপি বা অন্য দলের হয়ে ভোটে অংশ নিতে না পারে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া, দলছুটসংসদ সদস্যদের ‘জাসদের’ নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য কোনো নামে নতুন দল নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, নিবন্ধিত দলকে ব্যয় নির্বাহে ও প্রচারণায় নিয়মিত অনুদান দেওয়া, দলের অনুদান আয়কর মুক্ত করা, ভোটে কালো টাকার ব্যবহার রোধে প্রার্থিতা বাতিল, জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করা, স্থানীয় ও সংসদ নির্বাচনে স্বপদে থেকে নির্বাচন করায় অযোগ্যতা বিধান, পাবলিক ও বেসরকারি থেকে অবসরের পর ভোটে অংশ নেওয়ার শর্ত শিথিল করা, প্রতীক বরাদ্দের দিনই জোটভুক্তদের প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সুযোগ রাখা ও নির্বাচন আর্কাইভ স্থাপন করা।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৫টি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করল ইসি।