ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:৫৯:০৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ

| ৯ কার্তিক ১৪২৩ | Monday, October 24, 2016

ঢাকা: এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, সংসদের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করবে রাষ্ট্রপক্ষ আজ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম একথা জানান।
তিনি বলেন, সংসদের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের দু’জন বিচারপতি বলেছেন ষোড়ষ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল বলেছেন, অপর একজন বলেছেন ওই সংশোধনী বৈধ। রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্যই আপিল করবো। রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে এখন বিচারপতি অপসারণ কিভাবে হবে -এমন প্রশ্নে এটর্নি জেনারেল বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পর বিচারপতিদের অপসারণের ব্যাপারে সাংবিধানিক শূন্যতা রয়েছে এ কথা বলা যায়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিষয়ে এটর্নি জেনারেল বলেন, এ ট্রাইব্যুনাল কিভাবে চলবে তা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে এ ট্রাইব্যুনাল জেলা পর্যায়ে নিয়ে যাবে তবে অন্য কথা বা হাইকোর্টের বিচারপতিদের এখান থেকে নিয়ে অন্য কারো নিয়োগ করবেন কি-না তাও সরকারের ব্যাপার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল অসদাচারণের জন্য সুপ্রিমকোর্টের কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাকে অপসারণের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ৫মে ওই সংশোধনীকে বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী বলে রায় দেয় হাইকোর্ট।
বেঞ্চের দুই বিচারপতির দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ১১ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারী বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের রায় গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়।