এক নারীর শ্লীলতাহানির মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনি শংকর রায়সহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম তাদের অব্যাহতির এ আদেশ দেন।
অব্যাহতি প্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- মুগদা থানার এসআই আবদুল কাদের, যাত্রাবাড়ী থানার এসআই জসিম ও জামাল এবং কনস্টেবল দেবাশীষ।
গত ২০ জানুয়ারি মামলাটি দায়েরের পর দু’দফায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়। দু’বারই প্রতিবেদনে বলা হয় অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। মঙ্গলবার ধার্য তারিখে প্রতিবেদনের ওপর শুনানির সময় বাদীপক্ষ ফের আপত্তি দাখিলের জন্য সময় প্রার্থনা করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে প্রতিবেদন অনুযায়ী আসামিদের অব্যাহতি দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, মামলার এজাহারে বলা হয়, মুগদা থানার এসআই আবদুল কাদেরের মেয়ের সঙ্গে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর মামলার বাদীর ছোট ভাই ইমরানের বিয়ে হয়। আবদুল কাদের এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। তিনি ইমরানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন।
পরে ইমরান আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেন। জামিন নেয়ার পর ইমরানকে দেখা করতে বলেন যাত্রাবাড়ী থানার ওসি। ইমরান থানায় গিয়ে এসআই জসিমের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এসআই জসিম। ইমরান চাঁদা দিতে অস্বীকার করে চলে আসেন।
২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ইমরানকে ১ নম্বর আসামির (এসআই আবদুল কাদের) বাসায় ডেকে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। পরে মামলার বাদীকে ফোন করে ওই বাসায় আসতে বলা হয়। বাদী তার বোনকে নিয়ে বাসায় এলে ১ থেকে ৩ নম্বর আসামিরা তার হাত ধরে টানাটানি এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের গাড়িতে করে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় ওসিও বাদীর হাত ধরে টানাটানি এবং অশোভন আচরণ করেন।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি শিরিন আক্তার শিলা বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ২১ জানুয়ারি মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। গত ১৫ মার্চ বাদী আপত্তি দাখিল করলে ট্রাইব্যুনাল পুনরায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। গত ৬ এপ্রিল পুনঃবিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদনেও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে উল্লেখ করা হয়।