ঢাকা, মে ৯, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৪:১৭:০৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

শ্লীলতাহানির মামলায় যাত্রাবাড়ীর ওসিসহ পাঁচ পুলিশকে অব্যাহতি

| ২৭ বৈশাখ ১৪২৩ | Tuesday, May 10, 2016

 

 

এক নারীর শ্লীলতাহানির মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনি শংকর রায়সহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম তাদের অব্যাহতির এ আদেশ দেন।

অব্যাহতি প্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- মুগদা থানার এসআই আবদুল কাদের, যাত্রাবাড়ী থানার এসআই জসিম ও জামাল এবং কনস্টেবল দেবাশীষ।

গত ২০ জানুয়ারি মামলাটি দায়েরের পর দু’দফায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়। দু’বারই প্রতিবেদনে বলা হয় অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। মঙ্গলবার ধার্য তারিখে প্রতিবেদনের ওপর শুনানির সময় বাদীপক্ষ ফের আপত্তি দাখিলের জন্য সময় প্রার্থনা করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে প্রতিবেদন অনুযায়ী আসামিদের অব্যাহতি দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, মামলার এজাহারে বলা হয়, মুগদা থানার এসআই আবদুল কাদেরের মেয়ের সঙ্গে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর মামলার বাদীর ছোট ভাই ইমরানের বিয়ে হয়। আবদুল কাদের এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। তিনি ইমরানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন।

পরে ইমরান আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেন। জামিন নেয়ার পর ইমরানকে দেখা করতে বলেন যাত্রাবাড়ী থানার ওসি। ইমরান থানায় গিয়ে এসআই জসিমের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এসআই জসিম। ইমরান চাঁদা দিতে অস্বীকার করে চলে আসেন।

২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ইমরানকে ১ নম্বর আসামির (এসআই আবদুল কাদের) বাসায় ডেকে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। পরে মামলার বাদীকে ফোন করে ওই বাসায় আসতে বলা হয়। বাদী তার বোনকে নিয়ে বাসায় এলে ১ থেকে ৩ নম্বর আসামিরা তার হাত ধরে টানাটানি এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের গাড়িতে করে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় ওসিও বাদীর হাত ধরে টানাটানি এবং অশোভন আচরণ করেন।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি শিরিন আক্তার শিলা বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ২১ জানুয়ারি মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। গত ১৫ মার্চ বাদী আপত্তি দাখিল করলে ট্রাইব্যুনাল পুনরায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। গত ৬ এপ্রিল পুনঃবিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদনেও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে উল্লেখ করা হয়।