ঢাকা, মে ৪, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:২০:২৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

শোলাকিয়া ঈদগাহে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা

| ১০ আষাঢ় ১৪২৪ | Saturday, June 24, 2017

শোলাকিয়া ঈদগাহে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা

 দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত আয়োজনের তোড়জোড় চলছে শোলাকিয়া ময়দানে। কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।   জেলা পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে নজরদারি করবে। এ ছাড়াও শহরসহ মাঠের প্রবেশ পথগুলোতে থাকছে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। নামাজ শুরুর আগে পুরো মাঠ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে। শোলাকিয়া মাঠ ও শহরের অলিগলিতে বসানো হবে নিরাপত্তা চৌকি। মাঠে প্রবেশ করতে প্রত্যেক মুসুল্লীকে তল্লাশি করা হবে।

পুলিশ সুপার বলেন, তা ছাড়াও ঈদগাহের আশেপাশে প্রতিটি বাড়িতে তল্লাশি চলছে। নতুন কোনো ভাড়াটিয়াকে বাড়ি ভাড়া না দেয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। এবার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যেই মুসুল্লিরা নামাজ আদায় করবেন।

ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা শোলাকিয়ার জামাতকে সফল করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। জামাতের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখতে জেলা প্রশাসকসহ র‌্যাব-পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ। তারা দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন।

স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, বছরের পর বছর এ মাঠে নামাজ পড়ে আসছি। গত বছর যারা ইসলামের নামে হামলা করেছিল তারা আসলে ইসলামের শত্রু। এ মাঠে নিরাপত্তা বরাবরই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল। আমরা স্থানীয় মুসুল্লিরা এবারও এ মাঠেই ঈদের নামাজ আদায় করব।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস জানান, এ বছর ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ১৯০তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমাদের প্রস্তুতির দুটি দিক, একটি হচ্ছে মাঠকে জামাতের উপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং উন্নয়ন সাধন করা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গত বছর শোলাকিয়া মাঠের নিকটবর্তী পুলিশ চেকপোস্টে সন্ত্রাসীদের হামলাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এ বছর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সব দিক থেকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও শোলাকিয়া ময়দানে ঈদ জামাত শুরু হবে সকাল ১০টায়। জামাতে ইমামতি করবেন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ।

শোলাকিয়া মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শর্টগানের ৬টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি এবং ১ মিনিট আগে ১টি গুলি ছুড়ে নামাজের জন্য মুসল্লিদের সঙ্কেত দেওয়া হবে।

জনশ্রুতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।