ঢাকা : পায়ে কাঠের গুঁড়ির সঙ্গে শিকল-তালা দিয়ে রাখা যশোরের আবুজার নামের (১০) শিশু মাদ্রসা ছাত্রকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করেছে আদালত।
আজ বুধবার বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো.সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।
গত ২০ এপ্রিল একটি ইংরেজি দৈনিকে “মাদ্রাসা স্টুডেন্ট ফ্লিজ কনফাইনমেন্ট” শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার আবু খালেদ আল মামুন আদালতের নজরে আনলে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করে।
রুলে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে হবে না- তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, যশোর জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট ও পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, গত রোববার গভীর রাতে গাছের গুডির সঙ্গে পায়ে শিকল-তালা বাধা অবস্থায় এক শিশুকে পাওয়া গেছে মাগুরায়। পুলিশ জানায়, আবুজার নামের (১০) যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দরিলাকুড়ে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। তার পায়ে ভারি কাঠ ঝুঁলিয়ে তাতে শিকলে বেঁধে রাখা হতো এ কারণে ওই ছাত্র যশোরের একটি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসেছে।
পরে সোমবার বিকালেই ছেলেটিকে তার পরিবার ও পুলিশের মাধ্যমে বাঘারপাড়া থানা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
মাগুরায় ওই ছাত্র সাংবাদিকদের জানায়, হাফেজি শিক্ষার জন্য তিন বছর আগে তার বাবা যশোর সাদুল্যাপুর দড়িলাকুড়ে মাদ্রাসায় দিয়ে আসেন। কিছুদিন পর থেকে মাদ্রাসার হুজুর জাহাঙ্গীর তাকে মারপিটসহ নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে আগেও একাধিকবার মাদ্রাসা থেকে পালানোয় ৩/৪ মাস আগে জাহাঙ্গীর তার পায়ে মোটা শিকল বেঁধে তালা লাগিয়ে ১০ কেজি ওজনের কাঠ ঝুলিয়ে দেন।