ঢাকা : রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিশেষ এলাকায় ভোটার হতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ সংক্রান্ত সমন্বয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিশেষ এলাকায় ভোটার হতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার বাবা-মা, ফুফু-চাচার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা তথা বিদেশীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তি ঠেকাতে কমিশন এবার বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। এজন্য কয়েকটি বিশেষ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগে ২০টি উপজেলা ছিল বিশেষ এলাকাভূক্ত। এবার আরো ১০টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ৩০টি এলাকার জন্য বিশেষ কমিটি রয়েছে।’
সচিব বলেন, বিশেষ এলাকায় কোন বিদেশি ভোটার যাতে তালিকাভূক্ত হতে না পারে সেজন্য কমিটিকে নির্দেশনা দেয়া আছে। তারা বাবা-মা, ফুপু-চাচার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে নাগরিকত্ব নিশ্চিত হলে কোন লোককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করবেন।
তিনি বলেন, তিনটি ধাপে ৭২ দিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের বয়স ১ জানুয়ারি ২০০০ বা তার আগে যাদের জন্ম অর্থাৎ ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে এবার তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া কেউ ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চাইলেও তা করতে পারবেন। এছাড়া ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সারা বছরই যে কেউ উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন, সংযোজন-বিয়োজনের আবেদন করতে পারবেন।
নারী ভোটার অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সচিব বলেন, নারী ভোটার বাড়ানোর বিষয়ে মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন যেসব অধিদপ্তর রয়েছে সেই অধিদপ্তরগুলোর বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া নারী নেতৃত্বে যারা রয়েছেন বিশেষ করে নারী জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মীদেরকে এই কার্যক্রমের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
সভায় সকল বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।