ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১০:৩৭:৫৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্ব নিতে হবে : রওশন

| ৩ আশ্বিন ১৪২৪ | Monday, September 18, 2017

ঢাকা  : বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, দেশত্যাগী রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সুযোগ সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের শাসন ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক সামরিক বাহিনীকে সামাল দিতে শুধু প্রতিবাদ বা নিন্দা জ্ঞাপন নয়, সে দেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপও বাড়াতে হবে।
আজ দুপুরে বক্সবাজার জেলায় উখিয়ার কুতুপালং-এ রোহিঙ্গা শরানার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণকালে রওশন এরশাদ এ কথা বলেন।
বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় এ সময় রওশন এরশাদ আরো বলেন, ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্থায়ীভাবে আশ্রয়দান ও তাদের খাবার সংস্থানের সামর্থ্য বাংলাদেশের নেই। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে বহু সমস্যায় জর্জরিত। এখানে চরম বেকার সমস্যা ছাড়াও কিছুটা খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তার ওপর শরণার্থীর চাপ। জাতি হিসেবে মানবিক দিক থেকে বাংলাদেশীরা অত্যন্ত সংবেদনশীল। জংলি বর্মিদের অত্যাচারে বাংলাদেশ মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারে না। পুরো দেশ আজ তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে। তিনি দেশের বিত্তবানদের রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার অনুরোধ জানান।
রওশন এরশাদ বলেন, কফি আনান কমিশন যে সুপারিশ করেছে তা মিয়ানমারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। কফি আনান কমিশন মিয়ানমার সরকারই গঠন করেছে। বাংলাদেশে যারা আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আছে এবং এখন যারা এসেছে, তাদের প্রত্যেক নাগরিককে মিয়ানমারকেই ফিরিয়ে নিতে হবে। কারণ এ সমস্যা মিয়ানমার সৃষ্টি করেছে। এ সমস্যার সমাধানও মিয়ানমারকেই করতে হবে।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, মিয়ানমারের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় ঐক্য প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রত্যাশিত। কিন্তু গুটি কয়েক সন্ত্রাসীর অপরাধের দায় নিরীহ মানুষের ওপর চাপানোর যে ভ্রান্তিতে সে দেশের সরকার ভুগছে তা দূর্ভাগ্যজনক। মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের স্বার্থেই এ ভুল পথ থেকে তাদের সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, বিরোধীদলীয় হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, হাজী ইলিয়াস এমপি, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন এমপি, সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ এমপি, মুনিম চৌধুরী বাবু এমপি, জিয়াউল হক মৃধা এমপি, ইয়াহিয়া চৌধুরী এমপি, মাহজাবীন মোরশেদ এমপি ও খোরশেদ আরা হক এমপি ।