ঢাকা, মার্চ ১৯, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৬:২০:৩৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি ‘মাছ-মাংসের আশা করি না, শেষ ভরসা সবজিতেও আগুন’ দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

রোহিঙ্গাদের বাড়িতে বৌদ্ধ আদিবাসীদের পুনর্বাসন

| ৩ চৈত্র ১৪২৪ | Saturday, March 17, 2018

 

হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমারের রাখাইন থেকে ধারাবাহিকভাবে বিতাড়িত করার পর সেখানে এরই মধ্যে পুনর্বাসন করা হয়েছে বৌদ্ধ আদিবাসীদের। রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে দেওয়া বাড়িঘরগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে তাদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ছোট ছোট ঘর।

রাখাইনের কয়েকটি গ্রাম সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি একটি বিশেষ  প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে দেখানো হয়, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের যেসব গ্রামে এক সময় মুসলিম অধ্যুষিত ছিল সেসব গ্রামে বৌদ্ধ রাখাইন আদিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। গ্রামের প্রবেশ পথে বাঁশের মাথায় টানিয়ে রাখা হয়েছে বৌদ্ধদের পতাকা। ছোট ছোট টিনের এসব দো-চালা ঘরে পুনর্বাসন করা হয়েছে বৌদ্ধ আদিবাসীদের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যাতে আর সেখানে বসতি গড়তে না পারে, সেই লক্ষ্যে রাখাইনের বিভিন্ন গ্রামে নতুন করে বৌদ্ধদের পুনর্বাসনের জন্য এসব আবাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। এই গ্রামগুলো ছিল রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর।

মিয়ানমার সেনারা গ্রামগুলো বুলডোজার চালিয়ে মিশিয়ে দিয়েছে গ্রামগুলো। মুছে ফেলা হয়েছে রোহিঙ্গাদের পুড়ে-যাওয়া বাড়ি-ঘরের ক্ষতচিহ্ন। এসব গ্রাম নতুন করে চাষাবাদের উপযোগী করে তুলছে তারা । দক্ষিণাঞ্চলের তুলনামূলক স্থিতিশীল ও দরিদ্র এলাকা থেকে রাখাইন জনগোষ্ঠীরা এখন সেখানে আসতে শুরু করেছে। রাখাইনে নতুন বসতি গড়া বৌদ্ধরাও চান না রোহিঙ্গারা ফিরে যাক।

রাখাইন রাজ্যের এক গৃহবধূ সিত সান এইন বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভয় পাই। আমরা চাই না তারা আর ফিরে আসুক। এখন তারা এখানে থাকবে না। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে বসবাসের সুযোগ পেয়েছি আমরা।’

এক সময়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গা মুসলিমদের এলাকায় এখন দেশটির একটি দাতাগোষ্ঠী বৌদ্ধদের স্থায়ী বসতি গড়ার জন্য নানান পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। রোহিঙ্গাদের অনুপস্থিতিতে সেখানে সরকারি, বেসরকারি ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজও চলছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যেতে পারলেও ফেলে আসা নিজ ভূখণ্ড কি ফিরে পাবেন? নাকি, কোনো নো-ম্যান্স ল্যান্ডে জায়গা হবে তাদের, সেটাই দেখার বিষয়।