ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:১৬:৩৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

রোহিঙ্গাদের ফেরা নিয়ে একমত চীন-জাপান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

| ৩ কার্তিক ১৪২৪ | Wednesday, October 18, 2017

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মিয়ানমারের গণহত্যা থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত বলে মনে করে চীন ও জাপান। কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে আছে।

আজ বুধবার রাজধানীতে রোহিঙ্গা বিষয়ে সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘চীন ও জাপানের বক্তব্যে আশাব্যঞ্জক পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। উভয় দেশই তাদের রক্তব্যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান যে মিয়ানমারকেই করতে হবে তা স্বীকার করেছে।’

‘মিয়ানমারের প্রতিনিধি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক আলোচনার কথা উল্লেখ করেছেন এবং কফি আনার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে ইউনিয়ন এন্টারপ্রাইজ গঠন, মন্ত্রি পর্যায়ের বাস্তবায়ন কমিটি গঠন এবং অ্যাডভাইজরি গ্রুপ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের কূটনৈতিক উদ্যোগ ও জনসংযোগের ফলে রোহিঙ্গা সংকট বিশ্বে গুরুত্ব পেয়েছে। সবাই বাংলাদেশের প্রসংশা করছে আর সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,  চীন ও রাশিয়ার অবস্থান আগের চেয়ে পরিবর্তন হয়েছে। প্রয়োজনে সেসব দেশে বিশেষ দূত পাঠানো হবে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে আলোচনায় বসতে হবে।

গত ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া ওই হত্যাযজ্ঞের পর এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। প্রতিদিন নতুন করে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে ভিড় করছে রোহিঙ্গা সদস্যরা। গত সাত সপ্তাহে এ নিয়ে এক মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী’ উদাহরণ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।