গোপাল মন্ডল,নারায়ণগঞ্জ- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার যাত্রামুড়া এলাকার একটি সুতার ফ্যাক্টরিতে সহকর্মীরা সাগর বর্মন (১০) নামের এক শিশুর পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়েছে। এতে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে সাগর।
রবিবার বেলা ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার যাত্রামুড়া এলাকায় জবেদা সুতা ফ্যাক্টরিতে এ ঘটনা ঘটে। সাগরের বাবা রতন বর্মন একই ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। তিনি জানান, সুতার ফ্যাক্টরিতে পরিষ্কার করার জন্য এক ধরনের অটোমেশিন থাকে। সাগরের সহকর্মীরা তার সাথে ‘দুষ্টামিচ্ছলে’ এই মেশিন দিয়েই পায়ুপথে হাওয়া দেন। এতে তার পেট ফুলে গেলে তারা তাকে ছেড়ে দেন। সাগর অসুস্থ হয়ে গেলে আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে রতন বর্মন খবর পান। এরপর সাগরকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বিকাল ৩টার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঢামেকে আনার পর সাড়ে ৩টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন। মেডিক্যাল অফিসার আমজাদ হোসেন জানান, পায়ুপথে বাতাস প্রবেশ করানোর কারণে শিশুটির শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এতে হার্ট অ্যাটাক হয়েই সে মারা যায়। সাগরের বাবা রতন বর্মন বলেন, সংসারের অভাব অনটনের কারণে ওই একই ফ্যাক্টরিতে সাগর, আমি আর সাগরের মা (লাবন্য রাণী) কাজ করতাম। সাগর ৩,১০০ টাকা বেতন পাইতো। সাত মাস আগে জয়েন করছে। আজকে আমার ছেলেটারে এরকম করে কেড়ে নিল? তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কালিয়াজিরা থানার রাজিবপুর গ্রামে বলে জানান রতন বর্মন। এ বিষয়ে জোবায়দা টেক্সাইল অ্যান্ড স্পিনিং মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইলে কাউকে পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এখনো অভিযুক্ত সহকর্মীর নাম জানা যায়নি। কোনো মামলাও হয়নি। প্রসঙ্গউল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনা শহরের টুটপাড়ায় একটি ওয়ার্কশপে রাকিব নামে এক শিশুর পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।