রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পেয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। জামিন প্রশ্নে জারিকৃত রুল নিষ্পত্তি করে দিয়ে তাকে জামিন দেয়া হয়। বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মজিবুর রহমান মিঞা ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।
সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৫ই মার্চ গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় গত ২১ মার্চ মান্নাকে কেন জামিন দেয়া হবে না এই মর্মে রুল জারি করে হাইকোর্ট। গতকাল এই অভিযোগের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করে। মান্নার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরুল্লাহ। তবে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নার সঙ্গে নিউইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খোকার টেলিফোন আলাপের একটি অডিও ক্লিপ গত ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করলে তা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়।
ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপকথনে ঢাকার সাবেক মেয়র খোকার সঙ্গে আলাপচারিতায় সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলা নিয়ে মান্নাকে কথা বলতে শোনা যায়।
একই দিন অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গেও মান্নার কথোপকথনের আরেকটি অডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়, সেখানে চলমান পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়ে তাকে আগ্রহ প্রকাশ করতে শোনা যায়। চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে জাতীয় সংলাপের অন্যতম উদ্যোক্তা মান্নার এই কথোপকথন ফাঁসের পর ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।