এম এ আহাদ শাহীন: বাংলাদেশে সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে প্রতিবেশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রানা দাসগুপ্ত। এঘটনাকে অবমাননাকর ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শাহিদুজ্জামান ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। রোববার সন্ধ্যায় টেলিফোনে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তারা এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান বলেন, এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক আচরণ। রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্য রানা দাসগুপ্তের বিচার করা উচিত। এটা অবশ্যই অবৈধ হস্তক্ষেপ। একজন আইনজ্ঞ যখন এমন কা- করেন তখন অবশ্যই তার বিচার করা উচিত।
তিনি বলেন, তার আত্মসম্মানবোধ নেই। নিজের দেশের প্রতি তার কোন সম্মানবোধ নেই। সে একটি বিদেশি অনুগত লোক ছাড়া আর কিছুই না।
শাহিদুজ্জামান বলেন, আত্মসম্মানবোধ থাকলে তিনি এত নিচে নিজেকে নামাতে পারতেন না। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে সে নিজেকে অপমান করেছেন।
এদিকে আইন অনুষদের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা অবশ্যই নিন্দনীয়। কিন্তু এই বিষয়ে অন্যদেশের আরেকজন প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাওয়াকে আমি মনে করি না তিনি উচিত কাজ করেছেন। এটা বাংলাদেশ সরকারের জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে তারা সরকারের কাছে তাদের আবেদন জানাতে পারেন। নিজেদের সরকারের প্রতি তাদের আস্থা থাকা উচিত ছিল।
ভারতে মুসলমানদের নির্যাতিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, তারা কি পাকিস্তান বা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন?