ঢাকা, মে ৭, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:৫৩:৩২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

রাজশাহীতে দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি পদ্মায় নিখোঁজ তিনজনের

| ২৮ ভাদ্র ১৪২৯ | Monday, September 12, 2022

ছবি- ইত্তেফাক

রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার সাতবাড়িয়া এলাকার পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের সন্ধান মেলেনি। 

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের ডুবুরিদল। আগের দিন রোববার বিকেলে পদ্মার স্রোত অনুকূলে না থাকায় উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল ফায়ার সার্ভিস।

 

উল্লেখ্য, রোববার সকালে ২২ জন কৃষককে নিয়ে নৌকাটি নগরীর মতিহার থানার সাতবাড়িয়া মিজানের মোড় বালুরঘাট থেকে মধ্য চরে কৃষিকাজের জন্য যাচ্ছিল। নৌকাটি ছোট, অতিরিক্ত যাত্রী, পদ্মায় প্রবল স্রোতে ও নিম্নচাপ জনিত বাতাসে সৃষ্ট বড় ঢেউয়ের কারণে মাঝ নদীতে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া নৌকার ১৯ যাত্রী সাঁতরে তীরে ফিরে এলেও তিনজন ফেরেনি বলে দাবি করেন বেঁচে ফেরা যাত্রীরা। তাদের উদ্ধারের জন্য  রোববার ও সোমবার সারাদিন অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে সকালের নৌকাডুবির অদূরে সকাল ৯টার দিকে আরেকটি নৌকাডুবি হয়। ওই নৌকাটি পদ্মার মধ্য চর থেকে কাশফুলের খড় নিয়ে এপারে আসছিল। যাত্রী ছিলেন তিনজন। তবে তারা সাঁতার কেটে পাড়ে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে একই দিন বিকেলে তালাইমারী এলাকার বিজিবি ক্যাম্পের সামনে আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবন্ত নৌকার যাত্রীদের উদ্ধার করেন বিজিবি সদস্যরা।

পদ্মা নদীতে নিখোঁজ তিনজন হলেন, চরসাতবাড়িয়া এলাকার মৃত ইসাহাকের ছেলে গোলাম নবী, চরশ্যামপুর এলাকার মৃত মোহাম্মদের ছেলে সাদেক আলী ও একই এলাকার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম। তাদের সবার বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, একটি ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে ২২ জন যাত্রী রোববার সকালে নগরীর সাতবাড়িয়া এলাকার মিজানের মোড় বালুরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। তারা সবাই মধ্য চরে যাচ্ছিলেন কৃষি কাজের উদ্দেশ্যে। বেশি যাত্রী নেয়ায় মাঝনদীতে গিয়ে প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে ছোট নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় যাত্রীদের ১৯ জন সাঁতরে তীরে উঠে এলেও তিনজন নদীতে তলিয়ে যান। এখনও তারা নিখোঁজ রয়েছেন।তিনি আরও জানান, পদ্মার স্রোত প্রতিকূলে থাকায় রোববার রাতে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান বন্ধ করা হয়েছিল। সোমবার ভোর থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকার কারণে আমাদের উদ্ধারের নৌকাটিও ঠিক ভাবে রাখা যাচ্ছে না। উপরন্তু নিম্নচাপ জনিত প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পদ্মায় ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে। তারপরও আমরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি জানান, পানিতে ডুবে যাওয়া মানুষের লাশ সাধারণত ২৪ ঘণ্টা পর ভেসে উঠে। কিন্তু স্রোতের কারণে মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা বড়াল নদীর মোহনায় চোখ রাখছি। সেখানে লাশ ভেসে গেছে কি না? এছাড়াও আমরা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।