স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই ক্লিনিক খুলে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছিল রাজশাহীর ‘এশিয়ান ক্লিনিক’। গতকাল শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
ক্লিনিকের পরিচালক রিয়াজ তালুকদারকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। অনাদায়ে তাঁকে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মর্তুজা আল মুঈদ।
নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নূর মোহাম্মদ জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে রোগী ভাগিয়ে ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসা হতো। সেখানে রোগী নেওয়া হলে চিকিৎসার নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন পরিচালক।
ওসি জানান, চার বছরের শিশু তৌহিদের চিকিৎসার জন্য গত বৃহস্পতিবার রামেক হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসেন বাবা মমতাজ। শিশুটির গলায় কয়েন আটকে ছিল। পরদিন মাহফুজ নামে এক দালাল ১৫ হাজার টাকায় অপারেশনের কথা বলে তাঁদের এশিয়ান ক্লিনিকে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে অপারেশনের পর শিশুটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এরপর শিশুটির বাবা সিদ্ধান্ত নেন তিনি আবার রামেক হাসপাতালে ফিরে যাবেন। এরই মধ্যে তাঁর কাছ থেকে ওই ক্লিনিকের পরিচালক সাত হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে মমতাজ বিষয়টি থানায় জানান। পরে ম্যাজিস্ট্রেট মর্তুজা আল মুঈদের নেতৃত্বে বোয়ালিয়া থানা-পুলিশের একটি দল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে পরিচালক রিয়াজ তালুকদারকে আটক করে। ক্লিনিকও সিলগালা করে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মর্তুজা আল মুঈদ জানান, ক্লিনিকটি অবৈধ।কোনো রোগী যাতে প্রতারিত হতে না পারে, সে জন্য ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। অভিযান চালাকালে আদালতে রাজশাহী সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি হিসেবে ডেপুটি সিভিল সার্জন মমতাজুল করিম উপস্থিত ছিলেন।