thebdtimes24.com

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টার সময় গতকাল সোমবার এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম ফরিদুল ইসলাম (২৮)। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাতুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সে।
উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্রী জানায়, খুলনা শহরের একটি বিদ্যালয়ে সে নবম শ্রেণিতে পড়ে। বিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে কয়েক দিন আগে বকাঝকা ও মারধর করেন। অভিমান করে সে গত শনিবার বাসে করে ঢাকায় চলে আসে। গাবতলীতে সারা দিন বসে থাকার পর সেখানে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই যুবক তাকে সাহায্যের কথা বলে এক বাসায় রাতে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।
ওই ছাত্রী আরও জানান, গাবতলী থেকে পরদিন রোববার তাকে সাভার নবীনগরে চাকরি দেওয়ার জন্য নিয়ে গেলে সে ছেলেটিকে হারিয়ে ফেলে। পরে বিকেলে বাস কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে ফরিদুলের পরিচয় হয়। তার সমস্যার কথা শুনে ফরিদুল চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাকে স্থানীয় এক বাসায় আটকে রাখে। এরপর রাতে তাকে ধর্ষণ করে।
গতকাল সোমবার দুপুরে ফরিদুল ছাত্রীটিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এনে স্থানীয় একটি খাবার হোটেলে রেখে যৌনপল্লিতে গিয়ে বিক্রির চেষ্টা করে। পরে মেয়েটি ঘটনা বুঝতে পেরে স্থানীয় লোকজনের কাছে বললে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ পল্লির প্রবেশপথ থেকে তাকে উদ্ধার ও পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নাসির উল্যাহ জানান, ধর্ষণের কথা ফরিদুল স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা বাদী হয়ে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।