ঢাকা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১২:৫৫:৫৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

রাজনৈতিক নেতাদের কাছে সৈয়দ আশরাফ অনুকরণীয় হতে পারেন

| ২৫ পৌষ ১৪২৫ | Tuesday, January 8, 2019

ঢাকা  : রাজনৈতিক নেতাদের কাছে সৈয়দ আশরাফ অনুকরণীয় হওয়া উচিত। তিনি ছিলেন বিরল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছেই অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদ্য প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মরণে আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত এক নাগরিক শোকসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ হানিফ অডিটরিয়ামে এই শোকসভায় বক্তারা বলেন, ‘সততা, ন¤্রতা, সরলতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় করে তুলেছিলো। এমন চিত্র রাজনীতির অঙ্গনে বিরলই বটে।’
শোকসভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন, বিশ্বাসী, অনুগত নেতা ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। তার মত নেতা রাজনৈতিক জীবনে হাতে গোনা কয়েকজন পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের মত এত বড় একটি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও তার মধ্যে অহংকার ছিল না, রাজনৈতিক কোন নেতা কর্মী কখনই বলতে পারবেন না সৈয়দ আশরাফ তাদের সঙ্গে কখনও জোরে বা ধমক দিয়ে কথা বলেছেন। তিনি সব সময়ই ছিলেন বিনয়ী।’
তিনি বলেন, যেসব নতুন মন্ত্রী-এমপিরা শপথ নিলেন তাদের কাছে সবাই আশা করবে তারাও যেন সৈয়দ আশরাফের মতো মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেন, তাদের কাজ কথা আচরনের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক জীবন তিনি অতিবাহিত করেছেন সততার মাধ্যমে। একজন রাজনৈতিক নেতার কাছে এমনটাই আশা করে সব মানুষ। তাই সৈয়দ আশরাফ অনুকরণীয় হওয়া উচিত সব নেতার কাছেই।
তিনি বলেন, প্রতিটি জানাজায় বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন । এর থেকে আমরা বুঝতে পারি তিনি সবার কাছে কতটা জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন।
আলোচকরা বলেন, দেশে ১/১১ এর সময় থেকে শুরু করে একটি কঠিন সময়ে সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দীর্ঘ সময়ে তিনি পদ-পদবি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছেন বা জ্ঞাতসারে কাউকে অন্যায় সুবিধা দিয়েছেন, এ রকম অভিযোগ কেউ করতে পারবেন না।
তারা বলেন, সৈয়দ আশরাফ তার সহকর্মী ও সহযোদ্ধাদের যে কথাটি জোর দিয়ে বলতেন, তা হলো- ‘রাজনীতি করতে চাইলে দুর্নীতি ছাড়তে হবে। আর দুর্নীতি করলে রাজনীতি ছাড়তে হবে।’ পদের গরিমা সৈয়দ আশরাফকে কখনো আচ্ছন্ন করেনি। তার ব্যক্তিত্ব পদের চেয়ে বড় ছিল।
শোকসভায় আরও বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, পরিবেশ আন্দোলনের সহ-সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
সিটি কর্পোরেশনের সচিব শাহাবুদ্দিন খান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শেখ সালাহ্উদ্দিনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।