ঢাকা,: রাজধানীর হাজারীবাগে থাকা সব ট্যানারি অবিলম্বে বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আবেদনটি দাখিল করে। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, এডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মিনহাজুল হক চৌধুরী। শিল্পসচিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রইস উদ্দীন আহমদ।
এডভোকেট রিজওয়ানা সাংবাদিকদের জানান, ট্যানারিগুলো বন্ধ ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা চেয়ে আবেদনটি করা হয়। আদালত অবিলম্বে ট্যানারিগুলো বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ৬ এপ্রিল দাখিল করতে বলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০১ সালে ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। ওই আদেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প অন্যত্র সরিয়ে নিতে ২০০৯ সালের ২৩ জুন হাইকোর্ট ফের নির্দেশ দেয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এরপরও ওই এলাকা থেকে ট্যানারি শিল্প কারখানা সরিয়ে নেয়া হয়নি।
গত বছর ১৬ জুন হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি না সরানো পর্যন্ত পরিবেশের ক্ষতি হিসেবে ১৫৪ কারখানার মালিককে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। পরে ট্যানারি মালিকদের আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ দৈনিক ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা পরিশোধে নির্দেশ দেয়। আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
আদালতের তলবে শিল্পসচিব আদালতে হাজির হয়ে জানান, দেড়শ’র বেশি কারখানা রয়েছে, যাদের বকেয়ার পরিমাণ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এরপর ২ মার্চ আদালত ওই সব কারখানাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কোষাগারে বকেয়া জরিমানা জমা দিতে নির্দেশ দেয়।