ঢাকা : রাজধানীর সড়কের যানজটের কবল থেকে নগরবাসীকে স্বস্তি দেয়ার লক্ষ্যে নগরীর আশ পাশে জমির উন্নয়ন করে ডাবল লাইন স্টান্ডার্ড গেজে ৮১ দশমিক ৯০ কিলোমিটার সার্কুলার রেল নেটওয়ার্ক চালু করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী শনিবার বাসসকে বলেন, ‘রাজধানীতে নগরীর বাসিন্দাদের ঝামেলামুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে সরকার সার্কুলার রেল নেটওয়ার্কসহ সরকার অনেক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, নগরীর রাস্তায় চাপ কমিয়ে নগরবাসীকে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে চলাচলের জন্য সরকার মেট্রোরেল, সার্কুলার রেলওয়ে নেটওয়ার্ক, ফ্লাইওভার, সার্কুলার ওয়াটারওয়ে ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার রাজধানীতে যানজট নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি ট্রেন সার্ভিসেরও উন্নয়ন করছে।’
প্রকল্প সূত্র অনুযায়ী, ২০টি স্টেশনসহ ৮১ দশমিক ৯০ কিলোমিটার সার্কুলার রেলওয়ে নেটওয়ার্ক যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য একটি জরিপ কাজ হাতে নেয়া হচ্ছে। সম্ভাব্যতা যাচাই ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্যপ্রণালী সম্পাদন শেষে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
সূত্র জানায়, রেল মন্ত্রণালয় প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ২৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করেছে। নির্বিঘেœ চলাচলের জন্য সার্কুলার ট্রেনের রুট ও পয়েন্টসমূহ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
প্রস্তাবিত সার্কুলার রেল টঙ্গী, তেরমুক, পূর্বাচল রোড, বেরাইদ, কাউয়েতপাড়া, ডেমরা, সিদ্দিরগঞ্জ, চৌধুরীবাড়ি, চাষাড়া, ফতুল্লা, শ্যামপুর, সদরঘাট, বাবুবাজার, নওয়াবগঞ্জ, শংকর, গাবতলী, ঢাকা চিড়িয়াখানা, বিরুলিয়া, উত্তরা ও ধোউরে থামবে।
দু’টি স্টেশনের মধ্যে গড় দূরত্ব থাকবে ৪ দশমিক ১০ কিলোমিটার। এতে সর্বোচ্চ দূরত্ব থাকবে ৬ কিলোমিটার (তেরমুক-পূর্বাচল রোড) ও সবচেয়ে কম দূরত্বের স্টেশন থাকবে ১ দশমিক ১০ কিলোমিটার (সদরঘাট-বাবুবাজার)।
এই ৮১ দশমিক ৯০ কিলোমিটার সার্কুলার রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ডিপো ডেমরায় এবং স্টোরেজ ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে বিরুলিয়ায়। ভূমির উন্নয়ন করে ওয়াগনের কাঠামো করা হবে ডাবল লাইন স্ট্যান্ডার্ড গেজ (রেপিড স্প্যানিং-ট্রি প্রটোকল, আরএসটিপি)