জগদ্ধাত্রী মাতৃমন্দিরে ৪ দিন ব্যাপী জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজা উপলক্ষে আয়োজিত মেলার উপর পৌর কর ধার্য্য করেছে রাঙ্গামাটি পৌরসভা।
গত ০১ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির বরাবরে রাঙ্গামাটি পৌরসভার বাজার কর্মকর্তা কামাল তালুকদার স্বাক্ষরিত এক পত্রে ২০ হাজার ২৫০ টাকা পৌরকর দাবী করে এই পত্র প্রেরণ করেন। পত্র পেয়ে রাঙ্গামাটি জগদ্ধাত্রী মাতৃ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে এই এলাকায় একটি মেলা বসে। এই মেলা বসার কারণে দুর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা পূজা আনন্দ যেমন গ্রহণ করে তেমনি মেলা ঘুরে ও আনন্দ উপভোগ করে। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বার বার পত্র দিয়ে মেলা থেকে পৌরকর আদায়ের জন্য পত্র দিচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দও সাধারণ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বলেন, গত ৩০ ও ৩১ অক্টোবর রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের ভিতরে যে মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে পৌরসভা কোন চিঠি দেয়নি পৌরকর চেয়ে।
তাহলে আমরা হিন্দু বলে পৌরসভার মেয়র আমাদের কাছে পৌরকর চেয়ে চিঠি দিয়েছে। তারা বলেন, আগামীতে হয়তো পূজা করতে গেলেই পৌরসভার অনুমতি ও পৌরকর দিতে হবে। তা না হলে পৌরসভা আমাদেরকে পূজাও করতে দিবে না।
রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র সাইফুল ইসলাম ভূট্টো জানান, মুলত রাস্তার উপর মেলা করা থেকে বিরত থাকতে আমরা নিরুৎসাহিত করতে এই পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় যানবাহন চলাচল দারুন ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এলাকার জনগন আমাদের যাত্রী ছাউনি ব্যবহার করতে পারছে না। তিনি বলেন আমরা মেলার করার বিপক্ষে নয়। তারা মেলাটাকে তাদের মন্দিরের ভিতরের সাইডে করুক আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ৩০ ও ৩১ অক্টোবর রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে যে মেলা হয়েছে তা তাদের গন্ডির ভিতরে হয়েছে বলে আমরা কিছুই বলিনি। আমরা তাদের কাছে পৌরকর চাইনি। এছাড়া পূজা কমিটির অন্যতম সদস্য স্বপন মহাজন আমার সাথে রবিবার এসে দেখা করার কথা ছিলো। কিন্তু আমি ঢাকায় চলে আসার কারণে যোগাযোগ করা হয়নি। এটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যাবে।