ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:২১:৪৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

রাঙ্গাবালী থানার ওসিকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ

| ৬ মাঘ ১৪২৩ | Thursday, January 19, 2017

 

গৃহবধূর আত্মহত্যার বিষয়ে আদালতের আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেয়ায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ নির্দেশ দিয়েছেন। এতে আগামী ধার্য তারিখে ওসিকে স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ রেশমা বেগমের আত্মহত্যার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় আদালত এ ব্যবস্থা নিয়েছেন।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ১৬ নভেম্বর নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা গ্রামের ফারুক হাওলাদারের স্ত্রী মৃত রেশমা বেগমের মা নিলুফা বেগম গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেয়ের স্বামী মো. এনামুল হক ও শ্বশুর শাশুড়িসহ ৬ জনের বিরদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় নিলুফা বেগম অভিযোগ করেন- তার মেয়ে রেশমা বেগমকে ৮ বছর বয়সে একই গ্রামে তার দাদি মরিয়ম বেগমের বাড়িতে রেখে তারা স্বামী-স্ত্রী আয় রোজগারের উদ্দেশ্যে ঢাকা যান। রেশমা বেগমকে তার দাদি স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করে দেন। ধীরে ধীরে মেয়ে রেশমা বেগম বড় হলে একই এলাকার সোবাহান আকনের ছেলে মো. এনামুল হকসহ স্থানীয় ছেলেদের কুনজর পড়ে।

তারা স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই রেশমাকে উত্যাক্ত করতো এবং বিয়ের প্রস্তাব দিত। এক পর্যায়ে ঘটনার দুই বছর আগে মিথ্যে প্রলোভন দিয়ে রেশমা বেগমকে বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে এনামুল হক বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে এনামুল হক যৌতুকের দাবিতে রেশমা বেগমের ওপর অত্যাচার শুরু করে। এরই মধ্যে রেশমা বেগম চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় মারধরের কারণে রেশমা বেগমের গর্ভপাত হয়। ফলে রেশমা বেগম শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে অত্যাচার আরও বাড়ে। অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে রেশমা বেগম (২০) গত বছরের ১০ নভেম্বর দুপুরে বিষপানে আত্মহত্যা করে।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী উম্মে আসমা আঁখি জানান, আদালতের বিচারক রাঙ্গাবালী থানার ওসিকে তদন্ত রিপোর্টসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। কিন্তু ধার্য তিনটি তারিখ পার হলেও ওসি কোনো ব্যবস্থা নেননি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে বিচারক আগামী ৩১ জানুয়ারি ওসিকে উপস্থিত থেকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি শামসুল আরেফীন জানান, রেশমা বেগমের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দু’ মাসেও থানায় পৌঁছেনি। এরপরেও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।