ট্রাক হেলপার জোবায়ের হাসান আকাশ (২২)। তিনি ডাকাতদলের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন? না কি ট্রাকের ড্রাইভার খুন করে ডাকাতির নাটক সাজিয়েছেন! এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা রহস্য। আর এই রহস্যের জট না খোলায় মরদেহ পড়ে আছে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পড়ে ছিল। নিহত আকাশ বগুড়া আদমদীঘি উপজেলার সারিন্দা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আকাশের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন ট্রাক ড্রাইভার মোশারফ হোসেন।
ট্রাক ড্রাইভার মোশাররফ হোসেন জানান, শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাতে ঢাকা থেকে ট্রাক যোগে (ঢাকা মেট্রো- ট- ২০-৩৬৩৯) বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে নওগাঁর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তার সাথে ছিলেন ট্রাক হেলপার আকাশ। রাত ১১টার দিকে মহাসড়কে টাঙ্গাইল-এলেঙ্গার মাঝামাঝি স্থানে ডাকাতদলের কবলে পড়েন তারা। ডাকাত দলের দুইজন ট্রাকের কেবিনে ঢুকে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হেলপার একজনকে লাথি দিয়ে সড়কে ফেলে দিলে ডাকাত দলের অপর সদস্য হেলপার আকাশের বুকে ছুরিকাঘাত করে ট্রাক থেকে নেমে পালিয়ে যান।
এরপর ড্রাইভার ট্রাক না থামিয়ে চলে আসেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে জরুরি বিভাগে হেলপার আকাশকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ড্রাইভার মোশারফ হেলপারের মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে ট্রাক নিয়ে চলে যান নওগাঁয়। এরপর তিনি ট্রাকের মালিককে বিস্তারিত জানান। ট্রাকের মালিক শনিবার ড্রাইভার মোশারফকে নিয়ে বগুড়া সদর থানায় আসেন এবং ডাকাত দলের ছুরিকাঘাতে হেলপার আকাশের মৃত্যুর খবর জানান। কিন্তু ড্রাইভারের বর্ননায় বগুড়া সদর থানা পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে নজরদারিতে রাখেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, ট্রাক ড্রাইভার মোশারফের কথা বার্তা রহস্যজনক। ঘটনাটি জানিয়ে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের কাছে বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার মরদেহের ময়না তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।