ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২০:২১:১১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

যেভাবে ফাঁসি কার্যকর কামারুজ্জামানের

| ২৯ চৈত্র ১৪২১ | Sunday, April 12, 2015

কারা সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় কামারুজ্জামানকে গোসল করানো হয়। এরপর বাসা থেকে আনা খাবার খান তিনি। ওই খাবারের মধ্যে ছিল তাঁর প্রিয় কবুতরের মাংস ও ফিরনি। এদিকে তাঁর ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়াও চলছিল তখন। জ্বলে ওঠে ফাঁসির মঞ্চের পাশে বৈদ্যুতিক বাতি। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে ১২ জন কারা কমান্ডো ফাঁসির মাঞ্চের পাশে অবস্থান নেন। তাঁদের পাঁচজন ছিলেন মঞ্চের ডান পাশে, পাঁচজন ছিলেন বামে এবং দুজন ছিলেন সামনে। রাত সোয়া ১০টার দিকে সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী, কারা মসজিদের পেশ ইমাম মনির হোসেন, জল্লাদ রাজুসহ কয়েকজন কনডেম সেলে কামারুজ্জামানকে আনতে যান। তখন কয়েকজন গোয়েন্দা ও পুলিশ কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে পেশ ইমামের সঙ্গে তওবা পড়তে বলা হয়। তবে কামারুজ্জামান বলেন, তিনি নিজেই তওবা পড়বেন। এ সময় জেল সুপার কারাবিধির বাধ্যবাধকতার কথা জানান। একপর্যায়ে মনির হোসেনের সঙ্গে তওবা পড়েন কামারুজ্জামান। রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে কামারুজ্জামানকে জল্লাদদের হাতে তুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। জল্লাদ রাজু তাঁর মাথায় কালো ‘জমটুপি’ পরান। এ সময় কামারুজ্জামান উচ্চ শব্দে বলে ওঠেন, ‘আমাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে।’ তখন জল্লাদরা তাঁকে দরুদ শরিফ পড়তে বলেন। তখন কামারুজ্জামান দোয়া পড়া শুরু করেন। এরপর জল্লাদ রাজু ও মাসুম তাঁকে হাত ধরে ফাঁসির মঞ্চের দিকে নিয়ে যান। তখন অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলেন কামারুজ্জামান। ফাঁসির মঞ্চের অদূরেই অবস্থান নেন জেল সুপার, সিভিল সার্জনসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। রাজু, মাসুমসহ পাঁচ কয়েদিই ফাঁসির প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। ফাঁসির মঞ্চে কামারুজ্জামানকে তোলার পর কিছু সময়ের জন্য নীরবতা তৈরি হয়। জেল সুপার লাল রুমাল তুলে ধরেন। ঠিক ১০টা ৩০ মিনিটে তিনি ওই রুমাল ফেলে দেন। তখন জল্লাদ রাজু ‘লিভার’ টেনে কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন। এ সময় ‘মা’ বলে চিৎকার দিয়ে ওঠেন তিনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে যান কামারুজ্জামান। প্রায় ২০ মিনিট তাঁকে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে জানায় কারা সূত্র। পরে লাশের পরীক্ষা এবং সুরতহাল সম্পন্ন করেন সংশ্লিষ্টরা। গোসল ছাড়াই লাশ হস্তান্তর : কামারুজ্জামান গতকাল ও এর আগে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছিলেন ফাঁসি কার্যকর করার পর তাঁকে গোসল না করানোর জন্য। তাঁর সেই অনুরোধ রক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা সূত্র। ফাঁসি কার্যকরের কয়েক মিনিট পরেই কারাফটক থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভেতরে প্রবেশ করে। রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে ওই অ্যাম্বুল্যান্সসহ আরো একটি অ্যাম্বুল্যান্স বের হয়। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শেরপুরে কামারুজ্জামানের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। কারাসূত্র জানায়, সাধারণত ফাঁসি কার্যকরের পর আসামিকে গোসল করিয়েই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর ব্যতিক্রম আগেও একবার ঘটেছিল। কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদারের লাশও গোসল ছাড়াই দেওয়া হয় পরিবারকে।