ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৭:২৩:২৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

যুদ্ধাপরাধের আরো এক মামলায় ৮ আসামীর বিরুদ্ধে রায়ের অপেক্ষা

| ২২ শ্রাবণ ১৪২৩ | Saturday, August 6, 2016

ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আনা আরো এক মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা অপেক্ষমান রয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেল উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে জাতীয় পার্টির নেতা ও যশোরের সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ এই আট আসামির যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণা গত ১৯ জুন অপেক্ষমান রেখে আদেশ দেয়।
সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ আট আসামির মধ্যে অন্যরা হলেন-মো. বিল্লাল হোসেন বিশ্বাস, মো. ইব্রাহিম হোসাইন, শেখ মো. মজিবুর রহমান, এম এ আজিজ সরদার, আব্দুল আজিজ সরদার, কাজী ওহিদুল ইসলাম এবং মো. আব্দুল খালেক। আসামিদের মধ্যে সাখাওয়াত ও মো. বিল্লাল হোসেন বিশ্বাস ছাড়া অন্যরা এখনো পলাতক। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ জুন পর্যন্ত আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৬ জন সাক্ষী। আসামিপক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিলো না।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে এর আগে আরো ২৫ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে ১৫টি মামলা। এসব মামলার আসামিরা হলেন- জামায়াতের অন্যতম শীর্ষ নেতা দলটির নায়েবে আমীর আব্দুস সুবহান ও সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত মোবারক হোসেন, জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ও সাবেক এমপি পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটু, বাগেরহাটের শেখ সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টার ও খান আকরাম হোসেন, পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিক, নেত্রকোনার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহের, কিশোরগঞ্জের এডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জের মহিবুর রহমান ওরফে বড়মিয়া এবং তার চাচাতো ভাই আব্দুর রাজ্জাক। পর্যায়ক্রমে এসব আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি হতে পারে বলে জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্র।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আনা আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউ’র চূড়ান্ত পাঁচটি রায়ের পর জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা ও বিএনপি’র সাকা চোধুরীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিলেও মৃত্যুদন্ড বহাল রায় রিভিউ চেয়ে জামায়াতের আরেক নেতা মীর কাসেম আলীর আবেদন শুনানির জন্য ২৪ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে। আপিলের আরেক রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদন্ডের রায় রিভিউ চেয়ে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষে আনা আবেদন এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।