যুদ্ধাপরাধী কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। তবে দলটির সংশোধিত গঠনতন্ত্রের খসড়ায় যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের সদস্যদের দলীয় সদস্যপদ পাওয়ায় কোনো বিধিনিষেধ রাখা হয়নি। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির আকার বাড়াতে প্রয়োজনীয় সংশোধনীও আনা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ঘোষণাপত্রের খসড়াও চূড়ান্ত করেছে দলটি। এগুলো অনুমোদনের জন্য তোলা হবে জাতীয় সম্মেলনে।স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন এখন হচ্ছে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে। এজন্য আওয়ামী লীগের সংশোধিত গঠনতন্ত্রের খসড়ায় দল মনোনীত প্রার্থী বাছাইয়ে ১৯ সদস্যের মনোনয়ন বোর্ড গঠনে বিধান রাখা হয়েছে। এ বোর্ডের সভাপতি হবেন দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হবেন সদস্যসচিব।
সম্মেলন সামনে রেখে অনুমদন করা গঠনতন্ত্রের খসড়ায় বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িতদের পরিবারের কারো আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ না দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তবে যুদ্ধাপরাধীর ক্ষেত্রে তার পরিবার নয়, শুধু যুদ্ধাপরাধীদেরই দলে জায়গা না দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটি।
অন্যদিকে অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তন ঠেকাতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রশংসা করা হয়েছে ঘোষণাপত্রের খসড়ায়। ৪৮ পাতার এই ঘোষণাপত্রে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে।
একই সাথে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পরবর্তী করণীয়ও রয়েছে ঘোষণাপত্রে। দলটি বলছে এর আলোকেই তৈরী হবে জাতীয় নির্বাচনের দলীয় ইশতেহার।
ঘোষনাপত্রে, সরকারের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় নানা অর্জনের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা রয়েছে। শনিবার জাতীয় সম্মেলনের প্রথমদিন কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হবে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র।
১৯ সদস্যের মনোনয়ন বোর্ডে দলীয় সভাপতি হবেন বোর্ড প্রধান এবং সাধারণ সম্পাদক হবেন সদস্যসচিব।