ঢাকা, মে ৯, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:১৮:১৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

মেদ-ভুড়ি ওজন কমানোর মহৌষধ ঝিঙে – দাবি পুষ্টিবিদদের

| ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ | Wednesday, May 18, 2016

jhigeখাবারে অরুচি হলে কচি ঝিঙে ও শিং মাছের ঝোল খান অনেকে। তবে কুচো চিংড়ি আর ঝিঙের যুগলবন্দীর কোনো জবাব নেই। ভাজি কিংবা ভর্তা হিসেবেও ঝিঙে খেতে দারুণ। তবে কেবল সুস্বাদুই নয়, এর অসাধারণ ভেষজ গুণ রয়েছে। পাশাপাশি বাড়তি ওজন ঝরাতে চান যারা, তাঁরা নিয়মিতই ঝিঙে রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। কারণ, এতে যেকোনো সবজির তুলনায় বেশি আঁশ রয়েছে, যা বাড়তি মেদ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। তা ছাড়া খাবারে ঝিঙে রাখলে ঘন ঘন খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছেও কমে যায়।

ইংরেজিতে রিজ গ্রাউন্ড নামে পরিচিত এই সবজি সারা বিশ্বে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে স্বীকৃত। এতে খাদ্য-আঁশ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি, রিবোফ্ল্যাভিন, জিঙ্ক, লোহা, থায়ামিন ও ম্যাগনেশিয়াম।

১০০ গ্রাম ঝিঙেতে রয়েছে ৯৩ গ্রাম জলীয় অংশ, শূন্য দশমিক ৩ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ২ দশমিক ৬ গ্রাম আঁশ, ৩০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১ দশমিক ৮ গ্রাম আমিষ, ৪ দশমিক ৩ গ্রাম শর্করা, ১৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ ও ৩৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। আসুন এবার ঝিঙের উপকারী দিকগুলো জেনে নেওয়া যাক।
 

ওজন নিয়ন্ত্রণের মহৌষধ: ঝিঙে খুবই কম ক্যালরি বা খাদ্যশক্তির একটি সবজি। এতে চর্বি নেই। এর আঁশ কোলেস্টেরল কমায়। এ ছাড়া এতে প্রচুর পানিও রয়েছে। তাই ঝিঙে খেলে বারবার খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছে কমে যায়। ফলে একে ওজন কমানোর মহৌষধ বলা চলে।
 

রক্ত শোধক: রক্তকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে ঝিঙে অতুলনীয়। যকৃতের জন্য খুবই উপকারী এই সবজি। পাশাপাশি এটি অ্যালকোহলের ক্ষতিকর প্রভাবও দূর করে।
জন্ডিস নিরাময়কারী: জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ঝিঙে আদর্শ পথ্য। ঝিঙের ‘জুস’ পান করলে যকৃতের কর্মক্ষমতা বাড়ে।
 

পাকস্থলী ভালো রাখে: এতে প্রচুর আঁশ থাকায় এটি পেট পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পাইলস রোগ দূরে রাখে। অ্যাসিডিটি ও আলসারও নিরাময় করে এটি। নিয়মিত ঝিঙে খেলে পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ে, খাবারও হজম হয়।
 

ডায়াবেটিসে উপকারী: ঝিঙেতে বিদ্যমান পেপটাইড এনজাইম রক্তের চিনির পরিমাণ কমায়। রক্তের ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ঝিঙে খুবই উপকারী।
 

প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক: প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিবায়োটিকের চমৎকার গুণ রয়েছে এই সবজিতে। শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয় এটি। ত্বকেরও সুরক্ষা দেয়। এটি বিভিন্ন রোগজীবাণু, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।