বাক্য লিখতে হলে শব্দ সম্পর্কে জানতে হয়। শব্দ লিখতে জানতে হয় বর্ণ। তাই সম্পত্তি কীভাবে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ভাগ হবে তার সাধারণ কিছু নিয়মাবলী দেয়া হল জনসাধারণের সুবিদার্থে। প্রথমে সাধারণ নিয়মাবলী জানলে পরবর্তীতে সম্পূর্ণভাবে লেখা নিয়মাবলী বুঝতে সুবিধা হবে।
একজন সুন্নি মুসলমানের বৈধ ওয়ারিশগণকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
১/ অংশীদারগণ- যারা সম্পত্তি হতে নির্দিষ্ট অংশ পাওয়ার অধিকারী।
২/ অবশিষ্টাংশ ভোগী- অংশীদারগণ পাওয়ার পর অবশিষ্ট থাকলে অবশিষ্টাংশ যারা পান।
৩/ দূরবর্তী আত্মীয়বর্গ- মৃত ব্যক্তির কোন অংশীদার বা অবশিষ্টাংশ ভোগী না থাকলে দূরবর্তী আত্মীয়বর্গ সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার পেতে পারেন।
পবিত্র কোরআনে ১২ জনের ( স্বামী, স্ত্রী, বাবা, মা, দাদা, নানী, মেয়ে, মেয়ের মেয়ে, আপন বোন, বৈপিত্রেয় বোন, বৈপিত্রেয় ভাই, বৈমাত্রেয় বোন ) সম্পত্তির অংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যদিও এর মধ্যে কেউ কেউ উত্তরাধিকার হতে বাদ পরতে পারেন কারণ বিশেষে। তবে স্বামী, স্ত্রী, বাবা, মা, কন্যা, পুত্র কখনই বাদ যাবেনা।
মৃতের সন্তান থাকলে সম্পত্তি একভাবে বন্টিত হবে, না থাকলে আরেকভাবে।
১/ সন্তান থাকলে স্বামী ১/৪, সন্তান না থাকলে ১/২ পাবেন
২/ সন্তান থাকলে স্ত্রী ১/৮, সন্তান না থাকলে ১/৪ পাবেন
৩/ সন্তান থাকলে বাবা ১/৬ , সন্তান না থাকলে অবশিষ্টাংশ ভোগী হবেন
৪/ সন্তান থাকলে মা ১/৬ , সন্তান না থাকলে এক জনের বেশি ভাই বা বোন না থাকলে ১/৩, থাকলে ১/৬ পাবেন
৫/ কন্যা একজন হলে ১/২, অধিক হলে সকলে ২/৩ পাবেন, পুত্র থাকলে কন্যা অবশিষ্টাংশ ভোগী হয়ে যায়। তখন পুত্র যা পায় তার অর্ধেক কন্যা পায়
৬/ বোন একজন হলে ১/২, অধিক হলে সকলে ২/৩ পাবে। তবে পুত্র, পুত্রের পুত্র, বাবা, দাদা থাকলে বোন উত্তরাধিকার থেকে বাদ যাবে। ভাই থাকলে বোন অবশিষ্টাংশ ভোগী হয়ে যায়। তখন ভাই যা পায় তার অর্ধেক বোন পায়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য- উল্লেখ্য সম্পর্কগুলো মৃত ব্যক্তির সাথে থাকবে। অর্থাৎ বাবা মানে মৃত ব্যক্তির বাবা, স্বামী মানে মৃতের স্বামী এভাবে সম্পর্ক ধরতে হবে