ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২২:৪৪:০৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

মীর কাসেম আলীর রিভিউ দাখিল

| ৫ আষাঢ় ১৪২৩ | Sunday, June 19, 2016

ঢাকা, ১৯ জুন ২০১৬ (বাসস) : একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী সুপ্রিমকোর্টের আপিলেও মৃত্যুদন্ড বহালের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন দাখিল করেছেন।

আজ রোববার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীরা এই আবেদন জমা দেন। রিভিউতে ৮৬ পৃষ্ঠার আবেদনে তারা ১৪টি যুক্তি দেখিয়ে মীর কাসেমকে ফাঁসির দন্ড থেকে অব্যাহতি চেয়ে রিভিউ আবেদনটি দাখিল করেছে। মীর কাসেমের আইনজীবী মীর আহমেদ বিন কাসেম আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদনটি দাখিল করেন বলে জানান।
এর আগে গত ৬ জুন দুই শত ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ পায়। নিয়ম অনুয়ায়ি পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে সংক্ষদ্ধ পক্ষ রিভিউ করতে পারে। সে হিসেবে নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই তারা রিভিউ (পুনঃবিবেচনা) আবেদন করেছেন।
ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে গত ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর আপিল খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ।
আপিলের রায়ে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদকে খুনের দায়ে এক অভিযোগে মৃত্যুদন্ড এবং আরও ছয় অভিযোগে ৫৮ বছর কারাদন্ডের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে হত্যার দায় থেকে এই জামায়াত নেতা অব্যাহতি পেলেও ১১ নম্বর অভিযোগ সর্বোচ্চ সাজাই বহাল রাখা হয়েছে।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দুই অভিযোগে মীর কাসেমের মৃত্যুদন্ড এবং আট অভিযোগে সব মিলিয়ে ৭২ বছরের কারাদন্ড হয়েছিল। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও এই ব্যবসায়ীকে। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার বিচার। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় । তার বিরুদ্ধে আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে মীর কাসেমের আপিল আংশিক মঞ্জুর করে ৪, ৬ ও ১২ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর ২, ৩, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আপিল নাকচ করে ট্রাইব্যুনালের রায়ই বহাল রাখা হয়েছে ।