ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলীর সঙ্গে আজ কারাগারে সাক্ষাৎ করেছেন তার আইনজীবী প্যানেলের সদস্যরা।
পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবীর একটি দল গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে তাদেন মক্কেল মীর কাশেম আলীর সাথে আজ সাক্ষাৎ করেন। আইনজীবীরা হচ্ছেন, মীর কাশেমের পুত্র ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম, এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, এডভোকেট নাজিবুর রহমান, এডভোকেট বজলুর রহমান ও এডভোকেট মো. নুরুল্লাহ্।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার নাশির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, মীর কাশেম আলীর সঙ্গে তার আইনজীবীরা ৪০ মিনিট কথা বলেছেন।
মীর কাশেম আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের ২৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৬ জুন প্রকাশ করা হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ি আপিল বিভাগ থেকে মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদন্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় মামলাটির বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে মীর কাশেম আলীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে এ পূর্ণাঙ্গ রায় কারাগারসহ সংশিষ্ট জায়গায় পাঠানো হয়। কারাগারে মীর কাশেম আলীকে মৃত্যু পরোয়ানা ও রায় পড়ে শোনানো হয়।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, রায় অবগত হওয়ার পর রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানোর জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন মীর কাশেম আলী। রিভিউ দায়ের করলে রাষ্ট্রপক্ষ রায় বহালের পক্ষে শুনানিতে যুক্তি তুলে ধরবে। তবে ফৌজদারী মামলায় রিভিউতে প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ কম বলে তিনি জানান।
এদিকে মীর কাশেম আলী মৃত্যুদন্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) করবেন বলে জানিয়েছেন। এজন্য আইনজীবীদের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন বলে সূত্র জানায়।
গত ৮ মার্চ মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত রায় রায় ঘোষণা করেছিলো আপিল বিভাগ। রায়ে বলা হয়, আসামিপক্ষে আনা আপিল আংশিক মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা হয়। এর আগে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল। মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৪১৫/কেএমআই