ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য আগামীকালের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আনা আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকি গত ২১ জুন শুনানির জন্য কাল ২৫ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেন। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্টিত হবে। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় মামলাটি কাল সোমবারের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য ৬৩ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।
গত ১৯ জুন আপিল বিভাগের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মীর কাশেম আলী। ওই আবেদনে ১৪টি আইনগত যুক্তি তুলে ধরে তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়।
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে দেয়া আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ রায় গত ৬ জুন প্রকাশ করা হয়। মীর কাসেম আলীর আপিল মামলায় রায় প্রদানকারী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায়ে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তা প্রকাশিত হলো। অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান। এটি আপিলে সপ্তম মামলা যার চুড়ান্ত রায় হলো।
নিয়ম অনুযায়ি আপিল বিভাগ থেকে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় মামলাটির বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে মীর কাসেম আলীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে এ পূর্ণাঙ্গ রায় কারাগারসহ সংশ্লিস্ট জায়গায় পাঠায় ট্রাইব্যুনাল। কারাগারে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যু পরোয়ানা ও রায় পড়ে শোনানো হয়। রায় অবগত হওয়ার পর রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন জানানোর জন্য ১৫ দিন সময় রয়েছে। সে অনুযায়ি মীর কাসেম আলী রিভিউ করেছেন।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, রিভিউ শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ রায় বহালের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবে। তবে ফৌজদারী মামলায় রিভিউতে প্রতিকার পাওয়ার সূযোগ কম বলে তিনি জানান।
গত ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত রায় রায় ঘোষণা করেছিলো আপিল বিভাগ। গত ৬ জুন পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এর আগে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।