ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:২২:০৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলোর আহ্বান

| ৪ আশ্বিন ১৪২৪ | Tuesday, September 19, 2017

নিউইয়র্ক : জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের ফাঁকে ব্রিটেন আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে অধিকাংশ পশ্চিমা শক্তিধর দেশ রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল রাতে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. এইচ. মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে অংশগ্রহণের পর পররাষ্ট্র সচিব এম. শহিদুল হক সাংবাদিকদের এ সম্পর্কে বলেন, অধিকাংশ দেশ মুসলিম রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুকি’র ওপর চাপ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার নেত্রীর প্রতিনিধিত্বকারী উপদেষ্টা থাং তুন রোহিঙ্গা নির্যাতনের ওপর বিভিন্ন প্রতিবেদন, ছবি ও তথ্যকে ‘মনগড়া’ অবহিত করে অত্যাচারের অভিযোগ অস্বীকার করার চেষ্টা করে।
কিন্তু অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিরা মিয়ানমার নেত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে জানান, তারা ওই অঞ্চলের বাস্তবিক অবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছেন।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের নির্যাতন বিষয়ক বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে এই সহিংসতাকে জাতিগত নির্মূল হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. এইচ. মাহমুদ আলী। এতে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, রাশিয়া, সুইডেন, সুইজাল্যান্ড, চীন, ডেনমার্ক, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জেষ্ঠ্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষে সুচি’র উপদেষ্টা অংশগ্রহণ করেন ।
মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কারণে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা এড়াতে অং সান সুকি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
গতমাসে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানে পরে প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। জাতিসংঘ এই নৃশংস হত্যাকান্ডকে জাতিগত নির্মূল হিসেবে অবহিত করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী মন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় ও অন্যান্য সাহায্য করায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দ্রুত তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
বরিস জনসন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান সহিংশতাকে মিয়ানমারের জন্যএ কটি কলঙ্ক হিসেবে অবহিত করে এ সকল কার্যক্রম বন্ধে অং সান সুকি ও তার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে জনসন বলেন, যখন মিয়ানমার গত কয়েক বছরে গণতন্ত্রের উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশটির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করল।
এই সহিংসতা বন্ধ করা মিয়ানমান নেত্রী অং সান সুকি ও সকারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বলে তিনি জানান।