ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৮:৫৯:১১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

মানুষ রুখে দাঁড়ালে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ঠাঁই পাবে না -শেখ হাসিনা

| ২৫ আষাঢ় ১৪২৩ | Saturday, July 9, 2016

দেশের মানুষ রুখে দাঁড়ালে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ঠাঁই পাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে যেন না ঘটে সেটা আমরা চাই। যেখানে এই ধরনের অপরাধীরা থাকবে সেখানে জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমরা মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যে কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে জিম্মি সমস্যার সমাধান করেছি। সন্ত্রাসীদের খতম করেছি। ওইখানে যারা জঙ্গি সন্ত্রাসী ছিল তারা সবাই নিহত হয়েছে। আমরা ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। তবে কয়েকজনকে বাঁচাতে পারিনি।’
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চার লেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গুলশানে হোটেলে হামলাকারীদের কোনও ধর্ম নেই। এরা মুসলমান নয়। সন্ত্রাসই তাদের ধর্ম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এশার আজান দিয়েছে। তারা যাবে নামাজ পড়তে। কিন্তু তারা গেল খুন করতে। হত্যাকারীরা নিজেরাও বাঁচতে পারেনি। তাদের পরিবার কী পেল? যাক হামলাকারীদের আমরা কতল করতে পেরেছি।’

টেলিভিশন সম্প্রচারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘টেলিভিশনগুলো সব সম্প্রচার করছিল। বলা হচ্ছে র‌্যাব অভিযান চালাবে। র‌্যাব কোথায় কাপড় পরছে, কোথায় দাঁড়াচ্ছে সব দেখাচ্ছে। বিজিবির ঘটনায় যখন অভিযান চলেছে তখনও এই অবস্থা দেখেছি। কেনো তারা বোঝে না, তারা যে এসব দেখাচ্ছে অপরাধীরাও তো সব দেখছে। তারাও তো সতর্ক হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়েছিলাম ওখানকার ইন্টারনেট, ভাইবার বন্ধ করতে হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের হামলার ঘটনায় কদিন আগে ৩০ জন মারা গেল। একটি লাশের ছবিও তারা মিডিয়াতে দেখায়নি। আর আমাদের দেশে ছবি দেখানোর জন্য কমপিটিশন পড়ে যায়।’

টেলিভিশনের মালিকদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন,‘কাল কারা কী করেছে সবই আমি জানি। এই প্রাইভেট টেলিভিশনের লাইসেন্স আমরা দেওয়া। দিতেও যেমন পারি, নিতেও পারি। এটা ছেলে খেলা নয়। সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে।’ তিনি বলেন,‘টেলিভিশনগুলো জনসাধারণের সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চালাতে পারে। যেনো তরুণ সমাজ বিপথগামী না হয়।’