আটক অভিযুক্ত ছেলে
রংপুরের কাউনিয়ায় নিজের মাকে শ্বাসরোধ করে ‘হত্যার’ পর মাটিতে পুতে রাখার এক সপ্তাহ পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে হারাগাছ ইউনিয়নের সিট নাজিরদহ গ্রামে নিজ বাড়ির ঘরের মেঝে খুঁড়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত ছেলে জামিল হোসেনকে (২২) আটক করেছে কাউনিয়া থানা পুলিশ।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছির বিল্লাহ।
ওসি জানান, উপজেলার তিস্তা নদীর সিট নাজিরদহ মনোরদী পাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছোট ছেলে জসিম মিয়া একটি এনজিও থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা ঋণ নেয়। সেই টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে জসিম হতাশায় ভুগছিল। ঋণের টাকা পরিশোধের হাত থেকে বাঁচতে গত ১৯ আগস্ট দিবাগত রাত ১টার দিকে তার মা জামিলা বেগমকে (৬০) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে সে মায়ের লাশ তার শোবার ঘরের মেঝেতে গর্ত করে পুতে রাখে।
এদিকে, গত ২০ আগস্ট সকাল থেকে জমিলার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিয়েও সন্ধান পায়নি। বুধবার বিকালে জমিলার বাড়িতে গিয়ে তার ঘরের মেঝে উঁচু দেখে তাদের সন্দেহ হয়। সন্ধ্যার দিকে জসিম মিয়ার ঘর থেকে দুর্গন্ধ আসলে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা জসিমকে আটক করে পুলিশকে খবর দিলে কাউনিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। জসিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাথমিকভাবে সে মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
স্থানীয়রা জানান, জামিলের বাবা আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করেন। ওই বাড়িতে জামিল ও তার মা থাকতেন।
ওসি মোন্তাছির বিল্লাহ বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জমিলার ছেলে জামিলকে আটক করা হয়েছে। জমিলার মরদেহ পুঁতে রাখার কারণ কী এবং এর সঙ্গে কে জড়িত এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।’