১৬ এপ্রিল মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ দর্শনে ভারত লন্ডন স্পেন হতে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ দর্শনে আসেন তিন কৃষ্ণভক্ত পর্যটক।তাদের আগমন উপলক্ষে লাঙ্গলবন্দের জহরপুরে নিতাই চৈতন্য প্রিচিং সেন্টার লাঙ্গলবন্দ শাখার উদ্যোগে এক সংবর্ধনা ও আলোচনার সভার আয়োজন করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানে কৃষ্ণকান্তদাস ব্রহ্মচারীর সঞ্চালনায় ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দুমহাজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীধাম মায়াপুর থেকে আগত শ্রীপাদ শ্যামসুন্দরান্দ দাস ব্রহ্মচারী(ভারত) ,বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপাদ নীলকমল দাস ব্রহ্মচারী (লন্ডন), শ্রীপাদ গোপল ভট্ট দাস ব্রহ্মচারী(স্পেন)আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দুমহাজোট বন্দর উপজেলা সভাপতি শংকর দাস,শ্রী শ্রী ব্রহ্ম মন্দিরের সেবাইত শ্রী মাধব চক্রবর্তীসহ হিন্দু ,ছাত্র ,যুব মহাজোটেরনেতৃবৃন্দ।
বক্তৃতাকালে পর্যটক অতিথী বৃন্দ বলেন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ দর্শনে এসে আমরা খুবই আনন্দিত ও ধন্য আমরা ভবিষ্যতে আরো বিভিন্ন দেশ হতে পর্যটকদের মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ দর্শনে আসতে উৎসাহিত করব । মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তিনশত কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন তা জেনে আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।আমরা মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ দর্শনের পাশাপাশি এখানে প্রিচিং সেন্টারের মাধ্যমে যেভক্ত সমাজ গড়ে উঠেছে তা আমাদেরকে সত্যিই অভিভূত করেছে। জয় হউক ভগবান পরশুরামের জয় হউক ব্রহ্মপুত্রের।
মানিক চন্দ্র সরকার বলেন আমরাই প্রথম বিদেশী পর্যটকদের আমন্ত্রনের মাধ্যমে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দে নিয়ে এসে সংবর্ধনা ও আলোচনাসভার আয়োজন করেছি আজ তারা এখানে এসে পরম আনন্দ লাভ করছে এতে বিদেশে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হচ্ছে। আজ এখানে প্রিচিং সেন্টারের মাধ্যমে যেভক্ত সমাজ গড়ে উঠেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার আমরা শুরু করেছিলাম বিধায় আজ তা সম্ভব হয়েচে।আপনারা মানুষের জন্য যারা কাজ করেন তাদের পশে রাষ্ট্রের সর্বস্তরের সহযোগীতা থাকবে ।আপনারা জানেন ভালকাজে শতবাধা আমি জানি কৃষ্ণভাবনা প্রচারের জন্য আপনাদের নিগুর ধীরতা থাকলে পরমেশ্বর আপনাদের নিশ্চয়ই সহযোগীতা করবেন ।আপনারা এগিয়ে যান আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব।আরএকটিকথা না বললে নয় পর্যটকদের আগমনণে সংবর্ধনা ও আলোচনাসভায় স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তাসহ সহযোগীতা করায় জেলা পরিষদ ও বন্দর উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
পরে অনুষ্ঠানশেষে পর্যটকবৃন্দ মহাত্মাগান্ধী ঘাটে মহাত্মাগান্ধী বেদীতে পুস্পার্ঘ নিবদন শেষে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে একটি পরিদর্শন বহিতে স্বাক্ষর শেষে নারায়নগঞ্জের উদ্যেশে রওনা হন সেখানে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দুমহাজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক চন্দ্র সরকার ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।