গত ১৯/০৭/২০১৬ইং তারিখে শ্রী শ্রী মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দে আষাঢ় পূর্ণিমা স্নানোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট জেলা শাখা ও হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন ও বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক চন্দ্র সরকার,নাঃগঞ্জ জেলা দপ্তর সম্পাদক গোপাল চন্দ্র মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার মন্ডল, বন্দর উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কার্তিক সূত্রধর, বন্দর যুব মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত দাস সহ ছাত্র ও যুব মহাজোটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় ও নাঃগঞ্জ জেলা নেতৃবৃন্দ। দুপুর ১টায় মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দে আষাঢ়ী পূর্ণিমা স্নানোৎসবে যোগ দিতে লাঙ্গলবন্দের চর শ্রীরামপুর শ্রী শ্রী ব্রহ্মমন্দির ও শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে এসে উপস্থিত হন। পরে নেতৃবৃন্দ মন্দির প্রাঙ্গন ঘুরে দেখেন এবং প্রথমে শ্রী শ্রী ব্রহ্মমন্দিরের সেবাইত মাধব চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে বৃক্ষরোপন করেন।
পরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সেবাইতকে সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপন করেন। বৃক্ষরোপন শেষে মানিক চন্দ্র সরকার বলেন বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক শোভাই বর্ধন করে না, মাটির ক্ষয়রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড়-তুফানকে বাধা দিয়ে জীব ও সম্পদ রক্ষা করে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। বৃক্ষ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। তাই বৃক্ষকে বলা হয় ‘প্রাণের অগ্রদূত’।বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা: আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে অপরিসীম। আন্তর্জাতিক তীর্থক্ষেত্র লাঙ্গলবন্দকে প্রকৃত রূপ দান করতে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাঙ্গলবন্দের উন্নয়নের জন্য দুইশত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। যা অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতার কোন অভাব নেই।
আমরা সকলে মিলে আন্তরিকতার সাথে এই উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সহায়তা করলে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ সারা বিশ্ববাসীর নজর কারবে। মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দে যে সমস্ত স্থানে নতুন করে মাটি বরাট করা হয়েছে সেখানে বৃক্ষরোপন করলে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি দূষনমুক্ত পরিবেশ গড়ে ওঠবে। পরে নেতৃবৃন্দ মহত্মাগান্ধী ঘাটসহ অন্যান্য ঘাটগুলো ঘুরে দেখেন।