ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, হবিগঞ্জের মাধবপুর, সিলেটের বালুচর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মঠ-মন্দির, বাসা-বাড়িতে হামলা ভাংচুর-লুটপাটের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ।
আজ সোমবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক চন্দ্র সরকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দীপাবলীর উৎসব চলাকালে উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্টি কর্তৃক যে নারকীয় তান্ডব চালানো হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন । তিনি আরও বলেন মন্দিরে হামলার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরেও মন্দিরে হামলা ভাংচুর অত্যন্ত দুখঃজনক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হামলা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় । কিছু দিন আগে সিলেটের ইস্কন মন্দিরেও যা হয়েছিল পৃথিবীর সকল বিবেকবান মানুষ প্রত্যেক্ষ করেছে, কিন্তু রাষ্ট্রের ভূমিকায় আমরা হতাশ হয়েছিলাম, ঢাকার রাজপথে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা, ফেনিতে মায়ের পেটে লাথি মেরে গর্ভের শিশুকে হত্যা, পার্বতিপুরে ৫ বছরের শিশু পূজা বিশ্বাসকে ধর্ষণ, ঝিনাইদহে স্কুল ছাত্রী পূজা মজুমদারকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা প্রমাণ করে এদেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও নিরাপত্ত্বার কথা চিন্তা করে এখনও হিন্দুরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু দেখার কেউ নেই ।
এতে দেশের সকল সংখালঘুরা প্রকাশ্য প্রতিবাদ না করতে পারলেও সার্বক্ষণিক চোর ঈশারায় প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অনতিবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা করা সহ বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে । মন্দিরে হামলা ভাংচুর করায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দুমহাজোটসহ ছাত্র ও যুব মহাজোট।