ঢাকা, মে ৮, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৩:৩৬:৪৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

মন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ কাল

| ১৯ কার্তিক ১৪২৩ | Thursday, November 3, 2016

নাসিরনগর থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দুর্বৃত্তদের হামলা নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. ছায়েদুল হকের আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। গতকাল বুধবার নাসিরনগর ও মাধবপুরের আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।

গত মঙ্গলবার রাতে নাসিরনগরের ডাকবাংলোতে স্থানীয় সংখ্যালঘু নেতাদের উদ্দেশ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক বলেন, ‘মালাউনের বাচ্চারা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। আর এ ঘটনাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করে অতিরঞ্জিত করেছে সাংবাদিকরা। অথচ ঘটনা কিছুই নয়।

অন্যদিকে হিন্দুদের ওপর সহিংসতার পর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত নাসিরনগর থানার ওসি আবদুল কাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার গতকাল বুধবার দুপুরে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার আদেশ দিলেও রাতে মন্ত্রী ও নাসিরনগরের সংসদ সদস্য ছায়েদুল হক বলেছেন সে (ওসি) ভালো লোক। তাকে প্রত্যাহার করা যাবে না। তার আদেশ বাতিল করা হচ্ছে। মন্ত্রীর এমন ভূমিকায় এলাকায় সংখ্যালঘু এবং সুশীল সমাজের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

নাসিরনগরের সংখ্যালঘু নির্যাতনের পরিস্থিতি দেখতে গতকাল সেখানে যান বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। সংখ্যালগু নেতারা তাকে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করে মন্ত্রী ছায়েদুল হকের কর্মকাণ্ডও তুলে ধরেন। এরপর রানা দাশগুপ্ত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার ক্ষমতায় থাকতে একজন মন্ত্রী হিন্দুদের নিয়ে এই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য কীভাবে করলেন? এতে জাতি বিস্মিত। তিনি জানান, মন্ত্রীর এমন বক্তব্য, হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ যৌথভাবে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টির বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছে।

তবে সংখ্যালগুদের নিয়ে ওই ধরনের বক্তব্যের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছায়েদুল হক। গতকাল সন্ধ্যায় ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, রানা দাশগুপ্ত কোথায়, কার কাছে এমন কথা শুনে এসব বানোয়াট কথা বলল, তা তাকে বলতে হবে? তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, রানা দাশগুপ্ত নাসিরনগর এসে আমার বিরুদ্ধে এই কথা বলে চলে গেল কেন? কেন সে আমার সঙ্গে দেখা করে সরাসরি এই কথা বলল না? দায়িত্বপূর্ণ একটি পদে থেকে একজন মন্ত্রীর সম্পর্কে সে কী ধরনের কথা বলছে, সে কি তা জানে? এখন আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেননি কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে বলল, পরিদর্শন করিনি? আমি প্রতিদিনই আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছি। উল্লেখ্য, ঘটনার চার দিন পর গত মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রী নাসিরনগরে আসেন।

মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর রানা দাশগুপ্তের কাছে বিষয়টি ফের জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় নেতাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছি। অভিযোগের পুনরাবৃত্তি আর করব না। দুপুরে নাসিরনগরের ওসিকে প্রত্যাহার এবং রাতে মন্ত্রীর ঘোষণা- ওসিকে প্রত্যাহার করা হবে না এমন প্রশ্নের জবাবে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ওসির সংশ্লিষ্টতা থাকায় প্রশাসন গতকাল দুপুরে তাকে প্রত্যাহার করে। কিন্তু রাতে মন্ত্রী ওসিকে প্রত্যাহার করবেন না এমন ঘোষণা শুনে জাতি স্তম্ভিত হয়ে গেছে। আর এতেই বোঝা যায়, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে- সেটি সঠিক।

প্রসঙ্গত ফেসবুকে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নাসিরনগরে ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দুদের দেড়শ বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। গত শুক্রবার নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাসের ফেসবুক পাতায় একটি পোস্ট নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত বলে স্থানীয়রা জানান। ফেসবুকে রসরাজ ‘ইসলাম অবমাননা করে’ পোস্ট দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ তাকে গত শনিবার আটক করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ঘটনার পর অনেকেই বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের কোন্দলের কারণে সুযোগ সন্ধানী হেফাজতে ইসলাম এই সহিংসতা ঘটিয়েছে। ঘটনার উগ্রতা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনের ঢিলেমি রয়েছে। ঘটনাটি থামানোর জন্য স্থানীয় রাজনীতিবিদরা তেমন একটা ভূমিকা রাখেননি। শুধু এলাকার স্থানীয় স্থায়ী কিছু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ ঘটনাটি প্রতিহত করতে এগিয়ে এসেছিলেন। এতে নাসিরনগর সদরের প্রায় ২০ জন স্থানীয় মুসলমান আহত হয়েছেন।

নাসিরনগরের সংখ্যালঘুরা নেতারা বলেছেন, ঘটনার আগের দিন এলাকায় মাইকিং করে পরদিন হামলা করা হয়। ঘটনাটি নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা সময়মতো ব্যবস্থা নেননি। এর ফলে সহিংসতা বেশি হয়েছে। এর রেশ ধরে তারা নাসিরনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ওসি আবদুল কাদেরকে প্রত্যাহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে গতকাল রাতে মন্ত্রী ছায়েদুল হক বলেছেন, ওসিকে প্রত্যাহার করা হবে না। সে ক্ষেত্রে ওসি প্রত্যাহারের প্রশাসনিক আদেশ বলবৎ থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়ে বলে, তাহলে ওসি প্রত্যাহারের আদেশ পরিবর্তন হবে। নতুবা ওসি প্রত্যাহারের আদেশ বলবৎ থাকবে।

এদিকে নাসিরনগরে হিন্দুরা মার খাওয়ার ৫ দিন পর গতকাল সকালে আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী। এ সময় তিনি বেশ কিছু মন্দিরে যান এবং আক্রান্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন ও সান্ত¦না দেন। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন্দলের জের ধরে হেফাজতে ইসলামসহ সুযোগ সন্ধানীরা এ হামলা ঘটিয়েছে- এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িত মূল অপরাধীদের বাঁচানোর জন্যই এমন উল্টা-পাল্টা কথা বলা হচ্ছে। অন্যদের মতো আমিও চাই, ঘটনার বিচার হোক। কিন্তু মিথ্যা কথা বলে অপরাধীদের ছাড় না দেয়া হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে বলে তিনি জানান।

এর আগে গতকাল সকালে প্রথমে মাধবপুর এবং পরে নাসিরনগর আসেন সুলতানা কামাল, খুশী কবীর, পংকজ ভট্টাচার্য্য ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে যান।

জানতে চাইলে খুশী কবীর ভোরের কাগজকে বলেন, আক্রান্ত এলাকা দেখে মনে হয়েছে- ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ঘটনাটির নিরসনে প্রশাসনের ভূমিকা কতটুকু রয়েছে তাও প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদরা যদি ঘটনা নিরসনে এগিয়ে আসতেন তাহলে হয়তো এত ভয়াবহ হতো না।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে ভোরের কাগজকে বলেন, ফেসবুকে ফেইক জিনিস দিয়ে পূর্বপরিকল্পিভাবে হামলাটি ঘটেছে এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের নীরব থাকার কারণে হিন্দুরা মার খেয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোনো সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। তিনি বলেন, নাসিরনগরের সংসদ সদস্য ও মৎস্য মন্ত্রী গত মঙ্গলবার রাতে নাসিরনগরে এসেছেন। কিন্তু আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনে যাননি। বরং সংখ্যালঘু নেতাদের ‘মালাউনের বাচ্চা’ বলে গালি দিয়ে দেখে নেবেন বলে জানান। আর সাংবাদিকরা এ ঘটনাটিকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করেছেন বলে মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান। তিনি বলেন, সংসদ সদস্যসহ মন্ত্রী এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদরা তাদের দায়িত্ব পালনে শুধু অবহেলা নয়, ঘটনাকে লঘু করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেছেন, পাবনার সাঁথিয়া থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর সব জায়গায়ই ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছে। মন্দির ভাঙা হয়েছে। কিন্তু কোথাও বিষয়টি প্রমাণ হয়নি। তবে কেন এই হামলা? তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ফেসবুকের ছবি আপলোডের জেরে ধর্মীয় অবমাননা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে যাদের মন্দির ও বাড়ি ভাঙা হয় তাদের মনে কি আঘাত লাগে না? প্রত্যেক হামলার পর দেখা যায়, স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও প্রশাসন এতে ইন্ধন জোগাচ্ছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু বলেন, দুর্গাপূজায় হিন্দুদের নিরাপত্তা দিয়ে পুলিশ যে বিশ্বাস অর্জন করেছিল নাসিরনগরের ঘটনায় সেই পুলিশ অবিশ্বস্ত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, কিছু হলেই পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়। এ কারণে নাসিরনগরের ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আক্রান্তদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

হবিগঞ্জে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি : নাসিরনগরে হামলার দিন হবিগঞ্জের মাধবপুরেও হিন্দুদের ওপর হামলা হয়। মন্দির ভাঙা হয়। মাধবপুরের ঘটনায় হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. সাজিদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র। মূল বিষয় ঠিকঠাকভাবে বের করার জন্য তদন্ত কমিটিকে ১০ কর্মদিবস সময় দেয়া হয়েছে।