ঢাকা, মে ৩, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৫:১৩:০৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের জলকামান, কাঁদানে গ্যাস

| ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ | Friday, May 26, 2017

সুপ্রিম কোর্টের সামনে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ দফায় দফায় জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। আটক করা হয়েছে চারজনকে। ২০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ শুক্রবার দুপুরে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র জোটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়।

প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে। বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ এলাকা ঘুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা।

পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দিকে অগ্রসর হন নেতাকর্মীরা। আগে থেকেই সুপ্রিম কোর্টের আশপাশে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। দোয়েল চত্বর, কার্জন হল ঘিরে বসানো হয় ব্যারিকেড। মিছিলকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা চালালে পুলিশ প্রথমে মিছিলকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান ও পরে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

তখন মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে।

এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ চারজনকে আটক করে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স। আটক অন্যরা হলেন- ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি আবদুল হালিম, লালবাগ থানার কর্মী জয় এবং বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কর্মী আরিফ নূর।

নাসির উদ্দিন প্রিন্স আরো দাবি করেন, এ সময় তাঁদের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন। তাঁদের কাউকে কাউকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে আবার মিছিলকারীরা একত্র হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ আবার তাঁদের জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

বহু আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই ভাস্কর্য অপসারণের কাজ শুরু করা হয়। অপসারণ কাজ শেষ হয় ভোরে।

এ সময় ভাস্কর্য অপসারণের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ক্ষুব্ধ জনতা। আজ শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে ‘গ্রিক দেবীর মূর্তি’ স্থাপন করা হয়েছে—এমন দাবি করে এর অপসারণের দাবি করে আসছিল হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক নানা সংগঠন।

এ বছরের রমজানের আগে ভাস্কর্য অপসারণের সময়সীমাও দিয়েছিল ওই সব সংগঠন। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অপসারণ করা হয়েছে শিল্পী মৃণাল হকের গড়া ভাস্কর্যটি।

অপসারণের খবর পেয়ে মধ্যরাতেই সুপ্রিম কোর্টের গেটের সামনে জড়ো হন প্রতিবাদকারীরা। এ সময় আদালতের দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা।