পঞ্চগড় জেলার তিনপাশ জুড়ে ভারতীয় সীমান্ত। পশুর হাটগুলোতে দেশীয় গরুর সঙ্গে উঠতে শুরু করেছে ভারতীয় গরু। সীমান্ত পথে বিভিন্ন কায়দায় বিপুলসংখ্যক ভারতীয় গরু জেলার কোরবানির হাটগুলোতে আসায় কমতে শুরু করেছে দেশি গরুর বাজার। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন দেশি গরুর খামারি ও স্থানীয় গৃহস্থরা।
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের কোরবানির পশুর হাটগুলো। প্রতিটি হাটেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্রেতারা নিয়ে আসছেন ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া। তবে ক্রেতাদের নজর সবচেয়ে বেশি গরু আর ছাগলের দিকে।
এবারের কোরবানির ঈদকে ঘিরে পঞ্চগড়রে পাঁচটি উপজেলায় বিভিন্ন পশুর হাট জমে উঠেছে। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে পশুর হাটের ভিড়। এবার গরু, ছাগল, মহিষসহ কোরবানির পশুর আমদানিও বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু ভারতীয় গরু জেলার পশুর হাটগুলোতে ব্যাপক হারে ওঠায় কমতে শুরু করেছে দেশি গরুর বাজার।
বোদা উপজেলার থানাপাড়া এলাকার গরু বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি দুই বছর ধরে আটটি গরু লালন-পালন করে কোরবানির ঈদে ভালো দামে বিক্রির আশায় রেখেছি। কিন্তু এখন গরুর দাম কম হওয়ায় আমাকে লোকাসান গুনতে হবে।’
বাজারে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় গরু আসায় দেশি গরুর দাম কমে গেছে বলে জানান তিনি।তবে দাম কিছুটা কম থাকায় স্বস্তিতে সাধ্যের মধ্যেই কোরবানির পশু কিনতে পারছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
পঞ্চগড় রাজনগর হাটের ইজারাদার আব্দুর রহিম জানান, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সহযোগিতা করছেন।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহজুড়ে পশুর হাটগুলোতে এসব দেশি গরুর দাম ছিলো বেশ চড়া। কিন্তু গত কয়েক দিনে জেলার হাটবাজারগুলো হঠাৎ করে ভারতীয় গরু দখল করায় দেশীয় গরুর বাজার কমে যায়। এতে আর্থিক মুনাফার আশায় থাকা গৃহস্থ ও খামারিদের লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।