ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:৫০:০৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

ভারতীয় শিল্প উদ্যোক্তারা নিশ্চিন্তে এদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন : আমু

| ২৫ আষাঢ় ১৪২৪ | Sunday, July 9, 2017

 

ঢাকা : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৈষম্য নিরসনে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিরাজমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতীয় শিল্প উদ্যোক্তারা নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারেন।
আমির হোসেন আমু শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘কৃষি, হর্টিকালচার ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যশিল্প খাতের ওপর ব্যবসায়িক সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বরাবরই ভারতের অনুকূলে রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৈষম্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। যৌথ উদ্যোগে কৃষিভিত্তিক এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলার মাধ্যমে এ বাণিজ্য বৈষম্য কমানো যেতে পারে।’
তিনি বলেন, প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সাথে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দিন-দিন বাড়ছে। ২০০১-’০২ অর্থবছরে ভারত, বাংলাদেশে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছিল। ২০১৬-‘১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চলে বাংলাদেশি ইট, সিমেন্ট, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং খাদ্য পণ্য, কৃষিভিত্তিক পণ্য, মাছ এবং মাছজাত পণ্য, মেলামাইন, সিরামিক, প্রসাধনী ও কসমেটিক্স এবং সিআই শীট, হালকা প্রকৌশল পণ্য ইত্যাদির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে, ভৌগলিক নৈকট্য এবং স্বল্প পরিবহণ ব্যয়ের ফলে এ সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠেছে। কৃষিখাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ব্যাপক। বছরের পর বছর ধরে কৃষি উন্নয়নে আন্তরিক প্রচেষ্টা, উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ, আধুনিক প্রক্রিয়াকরণ সুবিধা জোরদার এবং খাদ্য বিপণন কৌশল গ্রহণের ফলে এ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশী কৃষিজাত দ্রব্য যেমন সবজি, মশলা এবং ফল-মূল ইত্যাদি রপ্তানির অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে এগুলো ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন একটি আকর্ষণীয় স্থান। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আমাদের সরকার ইতোমধ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগনীতি এবং শিল্পনীতি আধুনিক ও যুগোপযোগী করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় সেবা ও ইনসেনটিভ জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক, মহাসড়ক, বন্দরসহ যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারিদের জন্য ১০০টি ইকোনোমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতের উদ্যোক্তারা চাইলে এর একটি তাদের জন্যও বরাদ্দ দেয়া হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগকৃত শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পুনঃরপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে দু’দেশের উদ্যোক্তা ও জনগণ লাভবান হবেন।
এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেও ইতিবাচক অবদান রাখবে। পাশাপাশি রপ্তানি বৈচিত্রকরণের নতুন সুযোগ তৈরি সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা , ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি,তাসকিন আহমেদ, এফবিসিসিআই’র সভাপতি, মোঃ শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) , মহাপরিচালক রাজিব সিং, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি, আবদুল মাতলুব আহমাদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।