প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দরিদ্র মেধাবি শিক্ষার্থীরা যাতে উচ্চশিক্ষা বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। আগামীতে কোনো সরকার যাতে শিক্ষা ট্রাস্টের কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারে সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। অসচ্ছল, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যকম যাতে বাধার মুখে না পড়ে সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে বরাবরই শিক্ষাবৃত্তিসহ আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সে কার্যক্রম আরো এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট’র উপদেষ্টা পরিষদের তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটা তীক্ত অভিজ্ঞতা হলো যে ৯৬ (১৯৯৬) থেকে ২০০১ পর্যন্ত যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন যে উদ্যোগগুলো নিয়েছিলাম সরকার পরিবর্তনের পরই সেগুলো থেমে গেলো। অথবা অনেকগুলো একেবারে বাতিল হয়ে গেল। সেরকম যেনো না হয় এজন্য এই ট্রাষ্ট গঠন করেছি। এটা যেন চলমান থাকে সেদিকে খেয়াল রেখে কাজ করতে হবে।
এখন পর্যন্ত প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক কোনো কোনো ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। আগামীতে যাতে উচ্চ শিক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রেও বৃত্তি দেয়া হয় সে ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মূল কথা হলো শিক্ষার সুযােগটা সবার জন্য আরো সহজ করে দেয়া এবং মেধাবী, দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীরা যেন উচ্চ শিক্ষা পায়। কারণ দেশের ছেলে-মেয়েরা যতো শিক্ষিত হবে, দেশ ততো উন্নত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে, কেনোনা শিক্ষা ছাড়া কোনো দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।