ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:৫৪:৪৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

বিশ্বকে জানতে জ্ঞান অর্জনের জন্য বেশি করে বই পড়তে শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান

| ১৯ মাঘ ১৪২৩ | Wednesday, February 1, 2017

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকে জানতে জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের বেশি করে বই পড়ার আহবান জানিয়ে বলেছেন, একমাত্র সাহিত্য চর্চার মধ্যদিয়েই তারা ভুল পথে যাওয়া থেকে বিরত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা আজকে বিপথে (সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মাদকাশক্তি) চলে যাচ্ছে- তাদের সেই ভুল পথ থেকে বিরত রাখা যায় কেবলমাত্র সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে।’
তিনি বলেন ‘লেখাপড়া, সংস্কৃতি চর্চা যত বেশি হবে ততই তারা ভালো পথে চলে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি’।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা এবং এখানে যারা উপস্থিত সকলকে এই আহবানই জানাবোÑ সকলে বই পড়বে। …বই পড়ার ভেতর যে আনন্দ, বই পড়লে যেমন জ্ঞান অর্জন করা যায়, তেমনি অনেক কিছুই ভুলে থাকা যায়।’
প্রধানমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলা একাডেমীতে অমর একুশে উপলক্ষে মাসব্যাপী গ্রন্থমেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
একই সময় তিনি ৪ দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০১৭’ উদ্বোধন করেন এবং ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬’ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
সরকার প্রধান বলেন, এটা ঠিক আমাদের যা কছু অর্জন সববিছুই রক্ত দিয়ে করতে হয়েছে। বিনারক্ত পাতে কোনকিছুই পাইনি।
তিনি বলেন, আজকে আমরা স্বাধীন জাতি, আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার থেকে শুরু করে বাঙালি জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে যে মর্যাদার আসন, সে আসনও আমাদের বহু ত্যাগ-তীতিক্ষার মধ্যদিয়ে অর্জন করতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ’৭৫-এর বিয়োগান্তক অধ্যায় স্মরণ করে বলেন, আমরা সমগ্র বিশ্বে একবার মর্যাদা পেয়েছিলাম ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্যদিয়ে। যা ভুলুন্ঠিত হয়েছিল ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে।
শেখ হাসিনা বলেন, তখন আমরা খুনী জাতি হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হয়েছিলাম। আজকে সেই খুনীদের আমরা বিচার করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি ও করছি এবং আমাদের জাতীয় পতাকাকে সমুন্নত করে বিশ্ব সভায় আবারো একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছি। আর্থ-সমাজিকভাবে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার দিক থেকেও আমরা পিছিয়ে নেই,এগিয়ে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, শুভেচ্ছা বক্তৃতা দেন সংস্কৃতি সচিব বেগম আকতারী মমতাজ, প্রকাশকদের পক্ষে বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমীর ফেলো মফিদুল হক।
অনুষ্ঠান উপস্থিত বিদেশী অতিথিগণের মধ্যে বক্তৃতা করেন- চীনের রবীন্দ্র সাহিত্য বিশারদ অধ্যাপক ড. ইউ চেন, অস্ট্রিয়ার কবি মেনফ্রেড কোবো, পুয়ের্তোরিকোর মিঁজ লুস মারিয়া লোপেজ, জার্মানীর লেখক ও প্রকাশক টবিয়াস বুর্কহাডর্, ভারতের অধ্যাপক চিন্ময় গুহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠনের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতার অবদান বলে শেষ করা যাবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আজকে আমাদের এই ২১শের এই গ্রন্থমেলার ব্যাপ্তি আর আমাদের ভূখন্ডে সীমাবদ্ধ নেই, সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা আন্তর্জাতিকভাবেও আজ স্বীকৃত। এখানে সাহিত্য সম্মেলনও হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বইমেলায় বিদেশীদের অংশগ্রহণ এবং তাদের বাংলায় বক্তৃতা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কি চমৎকার বাংলায় তারা আমাদের বক্তৃতা শোনালেন, বিভিন্ন কবিতাও তারা অনুবাদ করেছেন। কাজেই এই অনুবাদের মধ্যদিয়েই আমরা একে অপরকে জানতে পারছি। ভাষার আদান-প্রদান, সংস্কৃতির আদান-প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, সাহিত্যের মধ্যদিয়েই একটা সমাজের অবস্থা আমাদের সামনে উঠে আসে।
যারা বইপ্রেমিক সকলেই এই বইমেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, কবে বইমেলাটা শুরু হবে। সারাবছর ধরে অপেক্ষা। কাজেই এই বইমেলার মধ্যদিয়ে বইমেলা চত্বর একদিকে যারা সাহিত্য চর্চা করেন, যারা প্রকাশকরা এবং যারা বই পড়তে পছন্দ করেন সেই ছোট্ট শিশু থেকে সকল বয়েসীদের একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়।
নিজের বইমেলায় আগমণের স্মৃতি রোমন্থন করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার খালি একটাই দুঃখ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার ফলে এখন আর আগের মতন এই বইমেলায় আসতে পারি না। এটাই সবচেয়ে দুঃখের, হাত-পা বাধা কি করবো। সবাই যখন আসেন দেখি, তখন এখানেই মনটা পড়ে থাকে।
তিনি বলেন, আর আমি বন্দিখানায় পড়ে থাকি। বন্দিখানা এই অর্থেই বলবো, যখন কারাগারে ছিলাম সেটা ছিলো ছোট কারাগার আর এখনতো সরকার প্রধান হিসেবে অনেক দায়িত্বে থাকতে হয়, ব্যস্তও থাকতে হয়। আবার অনেক কিছু মেনেও চলতে হয়। ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর বাসায় আগের মত এখনও বই পড়ার চর্চা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বই পড়ার চর্চা আগেও ছিল, এখনও আছে। আমরা ছোটমেলায় ১০ টাকা করে পেতাম বই কিনতে। রুপকথার বই,দস্য্ ুবনহুর থেকে শুরু করে ধীরে ধেির উপ্যনাস পড়া। এভাবেই ধাপে ধাপে আমরা বই পড়ে গেছি। তাই আমাদের ছেলে-মেয়েদেরও বই পড়াটা ছিল নেশার মত। এখন ভাল লাগে যখন দেখি নাতি-পূতিরাও বই পড়ে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারণ আমরা ছ্ট্টোবেলায়তেই তাদের (নাতি-পুতিদের) ঘরের এককোনে একটি চোট্ট জায়গায় একটি শেল্ফ করে বলে দেই এটা তোমার বইয়ের লাইব্রেরী। এখানে বসে তোমরা পড়বা। একবারে ছোট্ট যখন মাত্র দু,এক বছর বয়স হাঁটতে শেখে সে সময়ই এগুলো করে দেই। ’
তিনি বলেন, এই বই পড়ার চর্চাটা ছোটবেলা থেকে হলেই কিন্তু‘ আস্তে আস্তে তা অভ্যাসে পরিণত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বই পড়লে বিশ্বকে জানা যাবে। এখন ডিজিটাল যুগ বই হাতেও পড়া লগে না বই হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।
এ সময় সন্তানরা আর আগের মত লাগেজ ভর্তি করে বই না এনে হাতের মুঠোয় ট্যাবে বা আইপ্যাাডে করে বই নিয়ে আসেন বলে আগের মত তৃপ্তি মেলেনা বলেও আক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আইপ্যাডে বই পড়া গেলেও ছাপার অক্ষরে লেখা বইই তাঁর পড়তে বেশি ভালো লাগে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি হাতে বই নিয়ে পাতা উল্টে পড়লে তার মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ আছে। এটা হলো বাস্তবতা। কাজেই বই আরো ছাপা হোক,আরো সুন্দর হোক সেটাই আমি চাই।
শেখ হাসিনা এ সময় ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট স্মরণ করে বলেন,ভাষা আন্দোলণের প্রাথমিক পর্ব থেকেই নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন আইন পরিষদে ঘোষণা দেন যে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মেনে নেবে। তার এই ঘোষণার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগসহ গোটা ছাত্রসমাজ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফজলুল হক হলে অনুষ্ঠিত এক সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ, তমুদ্দীন মজলিস এবং আরও কয়েকটি ছাত্র সংগঠন মিলে সর্বদলীয় ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়।
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ২৫শে জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই আবারও ঘোষণা দিলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। এ সময় বঙ্গবন্ধু বন্দী অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের কেবিনে প্রায়শই তিনি বিভিন্ন ছাত্রনেতাদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করে আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দিতেন। এ রকম এক বৈঠকেই ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে উদ্বৃত করে বলেন - বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেছেন:‘‘…পরের দিন রাতে এক এক করে অনেকেই আসল। সেখানেই ঠিক হল আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ পালন করা হবে এবং সভা করে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হবে। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেই রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কনভেনর করত হবে।”
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে একুশে ফ্রেব্রুয়ারিকে ইউনেস্কো কতৃর্ক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন,‘ কানাডা প্রবাসী প্রয়াত রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালামের প্রচেষ্টায় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আন্তরিক উদ্যোগে ১৯৯৯ সালের ১৭ নবেম্বর ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার তৎপরতায় যুক্ত প্রয়াত রফিকুল ইসলাম এবং আমাদের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত এএসএইচকে সাদেককে গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের জন্য গৌরবের পাশাপাশি দায়িত্ববোধও বয়ে এনেছে। আমরা পৃথিবীর সকল ভাষাগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংরক্ষণ, বিকাশ ও চর্চার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যেসব গুণী লেখক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৬-তে ভূষিত হলেন, তাঁদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তাঁর সরকার দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে দারিদ্র্য, অশিক্ষা, অপুষ্টি ইত্যাদি দূরীকরণে আমরা অনেকটাই সফলতা অর্জন করেছি।
দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রসংগ তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের কৃষক তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। শ্রমিক পাচ্ছেন যথাযথ মজুরি, নারীরা কর্মক্ষেত্রসহ জীবনের পথচলায় পাচ্ছেন সমান অধিকার। তরুণ প্রজন্ম তথ্যপ্রযুক্তির দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অর্জন করছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য।
তবে দেশের এই সামগ্রিক অগ্রগতির বিরুদ্ধে একাত্তরের পরাজিত শক্তি, সাম্প্রদায়িক-সন্ত্রাসীচক্র নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সচেতন থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতেও সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। একুশের অমর সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি,আমি কি ভুলিতে পারি’-সমবেত কন্ঠে পরিবেশিত হয়।