মমতাকে চাপে ফেলতে নতুন কৌশল রাজনাথের।
বুধবারই কলকাতায় বিজেপি সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে কিছু তৃণমূল সমর্থক। শুধু তাই নয়, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি, অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির দিনই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বিজেপি-র রাজ্য অফিসের বাইরের চত্বর। এসব দেখে অবেশেষে নড়েচড়ে বসল বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যার ফলে তৃণমূল নেতৃত্ব তো বটেই, চাপ বাড়বে রাজ্য সরকারের উপরেও।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি শীর্ষ নেতা রাজনাথ সিংহ। দিলীপের দাবি অনুযায়ী, রাজনাথ সিংহ তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে যেখানে বিজেপি কর্মী বা অফিস আক্রান্ত হয়েছে, প্রত্যেকটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় এফআইআর দায়ের করতে হবে। প্রত্যেকটি এফআইআর সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে। কোনও থানা যদি এফআইআর না নেয়, তাহলে তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ছাড়াও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে জানাতে হবে। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, আজ সকাল পর্যন্ত প্রায় ২৫টি জায়গায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যদিও দিলীপবাবুর অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই এফআইআর নিতে চাইছে না পুলিশ।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পরে যেভাবে রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, তাঁকে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে মোটেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না, রাজনাথের এই ফোন তারই প্রমাণ। তৃণমূল সাংসদদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে চাপ বাড়াতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। এবারে তার পাল্টা হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের উপরে চাপ বাড়াতে বিজেপি নয়া কৌশল নিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।