ঢাকা, মে ৪, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:৪৪:৫৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

লাঙ্গলবন্দের প্রয়াত ১০ পূর্ণ্যার্থীর স্মরনে হিন্দু মহাজোটের প্রার্থনা ও স্মরণসভা ।

| ১৩ চৈত্র ১৪২৩ | Monday, March 27, 2017

Image may contain: 4 people, people sitting

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নারায়ণঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে ২৭ই মার্চ ২০১৭ইং সোমবার সকাল ৯ টায় মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দে প্রয়াত ১০ পূর্ণর্থীর স্মরনে নয়ামাটিস্থ সংগঠনের নাঃগঞ্জ  জেলা কার্যালয়ে এক স্মরনসভা ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। উক্ত স্মরনসভা ও প্রার্থণা অনুষ্ঠানে কৃষ্ণকান্ত দাস ব্রহ্মচারীরর পরিচালনায় ১০ পূর্ণার্থীর স্মরণে  প্রার্থনাসহ দেশ ও জাতীর মঙ্গলকামনাসহ আসন্ন স্মান উৎসব সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে উৎযাপনের লক্ষ্যে ভগবান পরশুরামের নিকট প্রার্থনা করা হয়। নারায়ণগঞ্জ বন্দরের  লাঙ্গলবন্দে গত ২৭ মার্চ ২০১৫ইং  শুক্রবার আনুমানিক সকাল ০৮:৪৫ মিনিটে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের পূর্ণস্নানে এসে ১০ পূর্ণার্থীর প্রাণহানী ঘটে এদের মধ্যে ৭ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ। নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের নিতাই চন্দ্র দাশ ও বাবুল বিশ্বাস, কুমিল্লা জেলার চান্দিনার রঞ্জিত মল্লিক, দাউদকান্দির কানন বালা, মেঘনা থানার তুলসী দেবনাথ, রাজধানীর ধানমণ্ডি জিগাতলার ভগবতী দাশ, লালবাগের রাখি, মানিকগঞ্জের মালতী দাশ, নোয়াখালীর কবিরহাটের ভানুমতি দাশ।লাঙ্গলবন্দের ইতিহাসে এই প্রথম পদদলিত হয়ে একসঙ্গে ১০ জন পূর্ণার্থীর প্রাণহানীর ঘটনা দেশসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
Image may contain: 5 people, people sitting

প্রার্থনা অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মাহজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক চন্দ্র সরকার, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ শ্রী শ্রী ব্রহ্ম মন্দিরের সেবাইত শ্রী মাধব চক্রবর্তী, জেলা দপ্তর সম্পাদক গোপাল মন্ডল,মহানগর সহ-সাধারন সম্পাদক লোকনাথ বিশ্বাস,জেলা সহ-প্রচার সম্পাদক সন্জীত মন্ডল,বন্দর উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কার্তিক সূত্রধর,কেন্দ্রীয় ছাত্র মহাজোটের প্রচার সম্পাদক জীবন কুমার রায় ,তথ্য বিষয়ক সম্পাদক নয়ন হালদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রার্থনা শেষে মানিক চন্দ্র সরকার বলেন পূর্ণার্থীরা পূর্ণাস্নানের উদ্দ্যেশে মহার্তীর্থ লাঙ্গলবন্ধে এসেছিলেন কিন্তু প্রাণহানী ঘটায় তারা বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি তীর্থ করতে এসে প্রাণ বিসর্জন। এমন মৃত্যু খুবই কষ্টের। পরিবারের আপনজন হারানোর যে কী বেদনা যাদের হারায় তারাই এর মর্ম বুঝে।

লাঙ্গলবন্দের ১০জন পূন্যাআত্মার মহাপ্রয়ানে  আমরা শোকাহত। নিহত সকল পুণ্যার্থীদের আত্মার শান্তিকামনাসহ তাদের পরিবারবর্গের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা ।

এই হৃদয় বিদারক ঘটনাটি আমাদেরকে বার বার পীড়াদেয়। তাই এই দিনটি স্মরণে নিহতদের উদ্দ্যেশে স্মরণ সভা ও প্রার্থনা করায় কিছুটা হলেও শ্বান্তির আস্বাদ পাচ্ছি এরূপ ভাবে প্রতি বছর প্রয়াতদের স্মরনের মাধ্যমে তারা আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকবে ।

আমরা নিহতের আত্মার সদগতি ও তাদের পরিবারের জন্য পরম করুণাময়ের কাছে সার্বিক কল্যান কামনা করি এবং প্রতিবছর এইদিনে প্রয়াতদের স্মরন করতে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মানের জন্য জেলা প্রসাশনের প্রতি আহব্বান জানাই পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এইরূপ ঘটনার পূনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য কর্তৃপক্ষের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করি।

পরে তিনি  মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবে এসে পদদলিত হয়ে যাদের অকাল প্রয়ান ঘটেছে সেই মহান স্বর্গীয় মহাত্মাদের স্বরণে পরম করুনাময়ের নিকট প্রার্থনা অংশ নেয়ার পর প্রয়াত পূন্যার্থীদের উদ্যেশে উৎসর্গকৃত তার স্ব রচিত কবিতা “ক্ষমাকর” পাঠ করে শোনান। আমরা তোমাদের ভুলবনা তোমাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের এ মহাউন্নয়ন। আমরা তোমাদের কাছে চির ঋনী। তোমাদের এ আত্মত্যাগ পৃথিবীতে অমর হয়ে থকবে । তাই তোমাদের স্মরনে মোর নিবেদন

“ক্ষমাকর”

তোমাদের স্মরনে মোদের নিবেদন।
ক্ষমা কর হে বীরগতিপ্রাপ্ত পূন্যার্থীগন।।

আমরা তোমাদের ভুলবনা ভুলবনা ভুলবনা।
মোদের সম্মূখেপানে যত বাধাই আসুক না।।

আমাদের গৃহে এসে ফিরে যাওনি নিজ ঘরে তোমরা।
ক্ষমা কর, ক্ষমা কর, হে মহান বীরগতিপ্রাপ্ত প্রাণ মহাত্মারা।।

এ কালীমা যে, মোদের হৃদয়ে আঘাতহানে বার বার।
আমরা অনুতপ্ত দুঃখিত স্তন্ভিত ভাষাহীন, হে প্রভু তাদের কর পার।।

তোমাদের স্মরনে মোদের নিবেদন।
ক্ষমা কর হে বীরগতিপ্রাপ্ত পূন্যার্থীগন।।