ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:১৭:১৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের অপেক্ষায়

| ১৫ আষাঢ় ১৪২৩ | Wednesday, June 29, 2016

ঢাকা: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে এলাকাভেদে মতামত, যুক্তি ও গণশুনানি করে বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের কমিশন গঠনের নির্দেশসহ হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অংশ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, এ রায় প্রকাশ হলে জনগণ উপকৃত হবে। রায়ের আলোকে কমিশন গঠন হবে। বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে কথা বলে কমিশন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি এলাকাভেদে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করা যাবে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের এ রায় অনুসরণ করলে বাড়ি ভাড়া সম্পর্কিত বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। রায়ের আলোকে কমিশন হলে মালিক ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে কি কি কারণে বিরোধ হয় সে বিষয়টি কমিশন বের করবে।
বাড়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধান কার্যকর না হওয়ায় এবং কোন এলাকার ভাড়া কতো হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করে।
রিটটিতে বলা হয়, রশিদ দিয়ে মানসম্মত ভাড়া আদায়, ভাড়া বৃদ্ধির ওপর বিধি নিষেধসহ আইন অমান্যে বাড়ির মালিকদের দন্ডের বিধান রেখে করা আইন মানা হচ্ছে না। বাড়ির মালিকরা তাদের মনমতো যেকোনো সময় ভাড়া বাড়াচ্ছেন এবং ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করছেন। এ কারণে ২৫ বছর আগে করা বাড়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধান মানতে এবং প্রয়োগ নিশ্চিতে রিটটি করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ১৭ মে এক আদেশে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন ও বিধি-বিধান কার্যকর করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে হাইকোর্ট। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। ওই রায়ে বলা হয়, বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি এলাকাভেদে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে ছয়মাসের মধ্যে একটি ‘উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন’ কমিশন গঠন করতে আদেশ দেয়া হয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সাত সদস্যের এ কমিশনের প্রধান থাকবেন আইন মন্ত্রণালয়ের মনোনীত একজন আইনজ্ঞ। গৃহায়ন, নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, একজন অর্থনীতিবিদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় মনোনীত একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের একজন প্রতিনিধি, ভোক্তা অধিকার বা বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত কাজ বা গবেষণা করেন বা বেসরকারি সংস্থার একজন প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মনোনীত যেকোনো সিটি কর্পোরেশনেরে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কমিশনে থাকবেন। এ কমিশন আইনের সংস্কার প্রস্তাব, বাড়ির মালিক, আইনজ্ঞ, বিভিন্ন বিভাগ, ভোক্তা অধিকার সংশ্লিষ্টসহ পক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলবে, প্রয়োজনে গণশুনানি করবে, তাদের মতামত ও যুক্তি গ্রহণ করবে, রাজধানী ও অন্যান্য মহানগর ও শহরাঞ্চলে বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ এবং সবোচ্চ ও সর্বনি¤œ ভাড়া নির্ধারণে প্রস্তাব দেবে। পাশাপাশি দেশের ভাড়াটিয়া ও মালিকের সমস্যা নিরূপন ও প্রতিকারে স্বয়ংসম্পূর্ণ আইনি কাঠামো প্রণয়নে সুপারিশ করবে। রায়ে নির্দেশনায় আরো বলা হয়, কমিশনের প্রস্তাব অনুসারে বিদ্যমান বাড়ি ভাড়া আইন সংস্কারেরও উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষ। কমিশনের সুপারিশ আকারে আইনি কাঠামোতে আসার আগ পর্যন্ত শহরাঞ্চলে বেআইনিভাবে কোনো ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ বা ভয়ভীতি দেখানো হলে এবং কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা যাতে দ্রুত মেটানো এবং প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্তকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আইনজীবীরা জানান, এ রায়টি জনস্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ প্রকাশ না হওয়ায় রায়ের সুফল ভ’ক্তভোগীরা পাচ্ছেন না।