ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:৪১:৩৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের উৎস : স্পিকার

| ১ বৈশাখ ১৪২৫ | Saturday, April 14, 2018

ঢাকা : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের উৎস।
এবারের পহেলা বৈশাখ’কে বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন নতুন উচ্চতায়। আমরা এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছে গেছি। দেশের সকল মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে আমরা সকলে কাজ করে যাব-এই বৈশাখে এটাই হোক আমাদের শপথ।’
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে নববর্ষ উপলক্ষে আল্পনা আঁকা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বার্জার পেইন্টস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালি চৌধুরী, ইরেশ জাকের এবং শিল্পী মনিরুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। পরে দেশবরেণ্য শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
বার্জার পেইন্ট ও ইউনিলিভারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আল্পনায় বাংলাদেশ-১৪২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন,‘সামনের পথচলায় দীপ্ত প্রত্যয়ে নববর্ষে আমরা তুলির আঁচড়ে রংয়ে-রংয়ে রঙিন করে তুলবো সমগ্র বাংলাদেশ এবং আমাদের সকলের জীবন ভরে উঠবে রঙে রঙে। বাংলাদেশের সকলের কাছে সফলভাবে পথচলার এ বারতা পৌঁছে দিতে হবে।’
নববর্ষে বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের স্ফুরণ দেখা যায় আল্পনায়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সামনে মানিকমিয়া এভিনিউ এ শিল্পীদের আঁকা আল্পনার মাধ্যমে নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার যে অভিযাত্রা বিগত পাঁচ বছর আগে শুরু হয়েছিল- বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ শুরুর মাধ্যমে তা ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ করলো।
৩০০ জন শিল্পীর আঁকা দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এ আল্পনা এখন বাঙালী সংস্কৃতির অন্যতম অংশ। আল্পনা আঁকাকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে শত-শত মানুষের কলকাকলিতে ভরে উঠে এ প্রাঙ্গণ।
স্পিকার বাঙালি সংস্কৃতিকে লালন করার মাধ্যমে নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার জন্যও দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক চেতনায় সমৃদ্ধ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। তিনি বলেন,‘পহেলা বৈশাখে আমাদের শপথ হোক আমরা উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে যেতে চাই। আমরা অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশটি হবে মানবের দেশ, দানবের নয়। বাংলাদেশ হবে একটি সুন্দর ফুলের বাগান, যে বাগানে সব ধরনের ফুল সমানভাবে শোভা পাবে।’