ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৮:১৬:৪০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির (ইস্কন) নাঃগঞ্জের মানববন্ধন ।

| ২১ আষাঢ় ১৪২৩ | Tuesday, July 5, 2016

13567041_1057529284302495_2172463828101483942_n

শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির  ইসকন নারায়ণগঞ্জ ও অন্যান্য হিন্দুধর্মীয় সংগঠনের উদ্যোগে নাঃগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্ত্বরে ৫ জুলাই, মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির (ইসকন) নারায়ণগঞ্জ  অধ্যক্ষ শ্রীপাদ হংসকৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্ত্বে  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন  নাঃগঞ্জ ইসকনের সাবেক  সভাপতি রঞ্জিত কুমার দাস, অখিল চন্দ্র বসাক, মন্দির ভক্ত দীনেশ্বর কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, রত্নেশ্বর দাস ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির  সিনিঃ সহ-সভাপতি ও  ইসকন লাইফ মেম্বার মানিক চন্দ্র সরকার, জেলা সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রঞ্জিত চন্দ্র দে, অর্থ সম্পাদক পলাশ চন্দ্র বীর নাঃগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোপীনাথ দাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস, মহানগর সাধারণ সম্পাদক  নিমাই চন্দ্র দে, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার সাহা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার (শিপন) , জাগো হিন্দু পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ দাস কাজল সহ বিভিন্ন মঠ মন্দিরের সাধু-সন্তু ও হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ।

বক্তৃতাকালে বক্তারা বলেন সারাদেশে একের পর এক হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলছে। হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ, মঠ-মন্দির ধ্বংস, দোকান-পাট ও বসতবাড়ি দখলসহ নানাবিধ নির্যাতনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এখন অস্তিত্ব সংকটে। ঝিনাইদহে পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী, শ্যামানন্দ দাস বাবাজী মহারাজ হত্যা, পাবনায় সৎসঙ্গের সেবায়েত নিত্যরঞ্জন পান্ডে হত্যা সাতক্ষীরায় শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির (ইসকন) এর পুরোহিত ভবসিন্ধু বর কে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা, চিঠি দিয়ে একাধিক পুরোহিত কে হুমকি, রামকৃষ্ণ মিশন, বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির এবং চার্চের পুরোহিত, ফাদার ও অধ্যক্ষকে  হত্যার হুমকি দেওয়াসহ আরো অনেক ঘটনাই দেশব্যাপী ঘটে চলেছে। এই নির্যাতন কেন বন্ধ হচ্ছে না এবং নির্যাতন বন্ধে সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা সুস্পষ্ট ভাবে জানতে চায় জাতি। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দ্বারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে নির্যাতন নিপীড়ন হচ্ছে তা বন্ধ না করতে পারার ব্যর্থতার দায়ভার কে নিবে ? তাই অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধের জন্য দোষীদের কঠোর হস্তে দমন করার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। নতুবা হিন্দু সম্প্রদায়  ও সাধু- সন্তুরা ঘরে বসে থাকবে না। অচিরেই হিন্দু নির্যাতন বন্ধ না হলে দেশ ব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলে নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।