ঢাকা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:৪৪:০৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট গঠনের ইতিহাস

| ৩ আশ্বিন ১৪২৩ | Sunday, September 18, 2016

পৃথিবীর সকলের কল্যাণ হউক, সকলের শান্তি লাভ হউক, সবাই নিরোগ হউক, কেউ যেন দুঃখ ভোগ না পায় এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে গত 2006 সালে সতেরই সেপ্টম্বর এই দিনে গঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নামে এই সংগঠনটি।
সন্ধ্যার বাতি জ্বলানোর আগে যেমনি সকালে চলে সলতে পাকানোর কাজ তেমনই হিন্দু মহাজোট গঠনের আগেও দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এর প্রস্তুতির কাজ। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে কথা বলার এক মাত্র সংগঠন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় সংখ্যালঘু কল্যান সমিতি। শত্রু সম্পত্তি আইন বাতিলের দাবীতে ও জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের দাবীতে সংগঠনটি ছিল রীতিমত সেচ্চার। এইরুপ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ হিন্দু সম্প্রদায়কে নিজের ঝুলিতে রাখার জন্য বাগে নেয় একটি সংগঠনকে অন্য দিকে বিএনপি ও বসে না থেকে গঠন করে হিন্দু বৌদ্ধ খিষ্টান কল্যান ফ্রন্ট নামের একটি সংগঠন। এর মধ্যেই জাতীয় কৃষ্ণ সেনা বাংলাদেশ নামে আদর্শ হিন্দু ধারার একটি যুব সংগঠন গড়ে উঠে, রমনা কালী মন্দিরে প্রথম সরস্বতী প্রতিমা বসিয়ে পূজার সূচনা করে। জনৈক হাজী সাহেব স্বামীবাগ আশ্রম দখল করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করলে কৃষ্ণসেনা ঝাঁপিয়ে পরে স্বামীবাগ আশ্রম রক্ষার জন্য আয়োজন করে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজার। নবমীর দিনে এক আলোচনা সভায় স্বামীবাগ আশ্রমকে পরিচালনার জন্য আহ্বান জানানো হয় ইসকন কে।ইসকন দায়িত্ব নেওয়াতে আজ স্বামীবাগ আশ্রম টি রক্ষা পায়।

এই রুপ একটি কালি পূজার মাধ্যমে ঢাকা শিব মন্দির উদ্ধার হয়, গেন্ডারিয়ার যমুনাবাঈ আশ্রম, বানিয়া নগরে সীতানাথ মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করায় 2005 সালে ভারতের গুজরাটে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সংঘ শিবিরে আমন্ত্রিত হন কৃষ্ণ সেনার কমান্ডার-ইন-চীফ এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।বিশ্ব হিন্দু নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে একটি ঐক্যবদ্ধ হিন্দু প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেন। তিনি দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন মত ও পথের তেইশটি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা ক্রমে 2006 সালের সতেরই সেপ্টম্বর ঢাকার মুক্তাঙ্গনে মহাসমাবেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। সকল সংগঠন তার নিজস্ব ভাবধারা অক্ষুন্ন রেখে হিন্দু ধর্ম, হিন্দু সমাজ, হিন্দু কৃষ্টি, ও সংস্কৃতি এবং জাতীয় কর্মসূচীতে ঐক্যবদ্ধ হবার প্রেরণায় শক্তি শালী জাতী গঠনের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মহাজোট গঠনে শপথ গ্রহন করে।একই সংগে গঠিত হয় ছাত্র ও মহিলা মহাজোট।পরবর্তীতে গঠিত হয় যুব, শিক্ষক ও আইনজীবী মহাজোট। এর পর দেশের সকল হিন্দু বুদ্ধিজীবি, সমাজসেবক, আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে সাত দফা দাবী ঘোষনা করে।সংগঠনটি মনে করে ভারতবর্ষে আবির্ভূত সকল অবতার, মহাপুরুষ, সাধক-সাধিকা, সম্মলিত ভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে সকলেই হিন্দু মহাজাতি গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই হিন্দু জাতিটা টিকে আছে, আবার সকল মত পথের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে হিন্দু জাতি তার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনবে। অতএব বিভেদ নয়, বিচ্চন্নতা নয়, সকল সাধন পথকে শ্রদ্ধা করেই হিন্দু মহাজোট সকলকে হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদী মন্ত্রে ঐক্য বদ্ধ করতে চায়। আমরা যে মত পথেই চলি না কেন বা যে সাধন পদ্ধতিই অবলম্বন করি না কেন, হিন্দু ধর্ম, হিন্দু সমাজ ও হিন্দু জাতি রক্ষা ও হারানো ঐতিহ্য পূণঃরুদ্ধারের কর্মসূচিতে ঐক্যবদ্ধ হই। এদিকে এই হিন্দু জাতিটাকে বিলুপ্তির জন্য ঘিরে ধরছে চারিদিক থেকে রাক্ষসের দল। মধ্যযুগীয় কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার জন্য পীর ফকিরের দল, বাহাই গ্রুপ, খিষ্টান গ্রুপ ও নাস্তিকের দল। এরা অনেক গরীব হিন্দু ও উপজাতি হিন্দু কে ধর্মান্তরিত করে ফেলেছে হিন্দুরা জেগে ওঠার আগেই অথচ হিন্দুরা এখনো ঘুমিয়ে। শুধু তাই নয় খিষ্টান গ্রুপ ও মুসলিম গ্রুপ এই হিন্দু সমাজটাকে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য মাঠে নামিয়েছে শতাধিক এনজিও। এরা হিন্দুদের ধর্ম বিমূখ ও খিষ্টানী কায়দায় বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আইন পাশের জন্য সরকারের উপর চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এই আইনে কেউ বিবাহ রেজিস্ট্রি আদালতে বাতিলের জন্য আবেদন করলেই তালাক প্রথা বৈধ বা চালু হয়ে যাবে। এই আইন আমাদের বেদ মন্ত্র পড়ে বিবাহ করার বিধান কে বন্ধ করার স্বরযন্ত্র।


এতে আমাদের কিছু হিন্দু না বুঝে অর্থ লোভে যুক্ত হয়েছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হায় এমন করে রেখেছে হিন্দু ছেলে মেয়েরা ধর্ম বিমূখ হয়ে পরছে। লাভজিহাদী ক্ষত বিক্ষত করেছে দিন দিন। অন্য দিকে সংস্কৃতি মনা ও নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে চলছে লাভ জিহাদের ধর্মান্তরিত করার যুদ্ধ। অতএব সাবধান হিন্দু সমাজ, একটু অসতর্ক হলেই আপনার রক্তে মাংসে গড়া প্রিয় অতি আদরের সন্তানটি হারাবেন। আপনাকে দেখলে বলবে কাফের ও জাহান্নামের বাসিন্দা। এদেশে 100% থেকে এখন 8.5% আছি। এখনই চেতনা না আসলে থাকবে শুধু কিছু স্মৃতিচিহ্ন। ধর্মান্তরিত দাদুর হাত ধরে চিড়িয়াখানায় দেখবে তাঁদের পূর্ব পুরুষ হিন্দু ছিল।

তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে, সাহিত্য সংস্কৃতিতে ছিল জগতে গুরুর আসনে। তাঁদের ছিল বেদ বেদান্ত, গীতা, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত ছিল, যাদের কাছে মাথা নুইয়েছে বিশ্বের পন্ডিত সমাজ।কিন্তু ছিল না তাঁদের কান্ড জ্ঞান, ছিল না তাদের একতা, ছিল না তাদের হিন্দু জাতীয়তার প্রতি মমত্ব বোধ, এই জন্যই তারা হারিয়ে গেছে পৃথিবী থেকে। কয়েক জন হিন্দু এখনো দেখা যায় তাই বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য রাখা হয়েছে এই চিরিয়াখানায়। এর পর মারা গেলে সংরক্ষন করা হবে পাশের এই যাদু ঘরে। অতএব বিলুপ্তি হওয়ার আগেই জেগে উঠুন।বাঁচার জন্য গড়ে তুলুন ঐক্যবদ্ধ হিন্দু সমাজ। যোগ দিন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটে। পীরফকির, নাস্তিক, সংস্কৃতিমনা, লাভজিহাদী, বাহাই, খিষ্টান হায়েনার পেটে যাওয়ার আগেই আপনার সন্তানের হাত তুলে দিন বেদ, বেদান্ত, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত, গীতা ভাগবদ। নিজে জেগে উঠুন, অন্যকে জাগান নিজের সার্থেই।

সবাই কে সংগঠিত করুন। একটি সচেতন সংগঠিত শক্তিই পারে আপনাকে, আপনার সন্তানকে, আপনার পরিবারকে চতুর্দিকে ওৎ পেতে থাকা হায়ানার গ্রাস হতে রক্ষা করতে।আসুন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটে যোগ দিয়ে আপনার আমার সকল হিন্দু জাতীর হাতকে শক্তি শালী করি