জন কেরি (ইনসেটে জুলহাজ মান্নান)
বাংলাদেশ সরকার সমকামীদের একটি পত্রিকার সম্পাদক জুলহাজ মান্নান এবং তাঁর বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। তারা বাংলাদেশে সব ধরণের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে। জুলহাজ মান্নান এবং তার বন্ধু মাহবুব রাব্বি তনয়কে গত সোমবার ঢাকার কলাবাগানের এক বাসায় কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাতনামা একদল লোক।
আলকায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট এর বাংলাদেশ শাখা আনসার-আল-ইসলামের এক টুইটার বার্তায় এই হত্যাকান্ড তারা ঘটিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি এক টুইটে জুলহাজ মান্নান এবং তনয় হত্যার নিন্দা করেছেন। জুলহাজ মান্নান ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মী এবং মার্কিন সাহায্য সংস্থা ‘ইউএসএআইডি’তে কাজ করতেন। জন কেরি বলেছেন, যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেছেন, জুলহাজ মান্নান ছিলেন একজন বিশ্বস্ত সহকর্মী, বন্ধুবৎসল এবং মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদার পক্ষে সোচ্চার এক কর্মী। বাংলাদেশের মানুষ যেরকম গর্বের সঙ্গে তাদের সহনশীলতা, শান্তি ও বৈচিত্র্যের ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে চায়, জুলহাজ মান্নান ছিলেন সেই চেতনারই প্রতীক।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিন্স সর্বশেষ এই হত্যাকান্ডের নিন্দা করে বলেছেন, বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতা সম্পর্কিত সহিংসতা বাড়ছে। খুনিরা এখন আরও বহু ধরণের মানুষকে টার্গেট করছে যাদের চিন্তাভাবনা হয়তো সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তাভাবনা থেকে আলাদা।
অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক চম্পা প্যাটেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে এক অধ্যাপককে হত্যার পরদিনই সর্বশেষ এই হত্যাকান্ড বাংলাদেশের পরিস্থিতি কতটা নিরাপত্তাহীন সেটাই তুলে ধরেছে। (বিবিসি)