বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে সবধরনের অটোরিকশা চলাচলে এক সরকারী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে আজ থেকে।
কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে অল্প সময়ের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায়, যেমন বিভিন্ন জায়গায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা, তেমনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকেরা।
সিলেটের ওসমানীনগর থেকে দয়ামীরের রাস্তায় যেতে হলে বিশ্বরোড না হয়ে যাবার ভিন্ন কোন রাস্তা নেই। কিন্তু অটোরিকশা বন্ধ করে দেবার কারণে সেখানে বিপদে পড়েছেন জিল্লুর রহমান।
“এখানে বিশ্বরোড না হয়ে কোন দিকে যাওয়া যাবে না। অটোরিকশা বন্ধ করে দেয়ায় শেষ এক কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে আসতে হয়েছে আমাদের। এখানকার একটি হাসপাতাল এবং একটি চক্ষু হাসপাতাল আছে, সেখানে যেতে হলেও এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। কিন্ত সব জায়গা দিয়ে তো বাস চলে না।”
আর যাত্রী সাধারণের এই বিপাকের মধের মধ্যেই, বিকল্প ব্যবস্থা না করে অল্প সময়ের মধ্যে মহাসড়কে অটোরিকশা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, সিলেট, নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ এবং বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকেরা।
তারা বলছেন, অটোরিকশা শ্রমিক ও মালিকদের কিছুটা সময় না দিয়ে নেয়া এ সিদ্ধান্তে এখন বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়বে।
পুরনো ঢাকার পোস্তগোলার সিএনজি চালক ফারুক চৌধুরী বলেন, ““আমরা যে ঝুঁকিপূর্ণ, এটা পারমিট দেবার সময় সরকারের মনে ছিল না? রুট পারমিট অনুযায়ী সিএনজি অটোরিকশার দাম হয়, এখন এত টাকা দিয়ে গাড়ি কেনার পর, সেগুলো চালাতে দেবে না। মালিকের কথা বাদ দেন, গাড়ি না চললে, আমরা খাব কি?”
তবে, সরকার বলছে সিদ্ধান্ত কার্যকরে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া অন্য কোন বিকল্প তাদের হাতে নেই। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এন আই সিদ্দিকী বলেছেন, এসব কম গতির অটোরিকশা মহাসড়কে দ্রুত গতির বড় যানবাহন অর্থাৎ বাস বা ট্রাকের সঙ্গে একসাথে চলাচল করার ফলে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।