ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:৪৯:০৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলবে : প্রধানমন্ত্রী

| ৯ মাঘ ১৪২৫ | Tuesday, January 22, 2019

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোল্টজ আজ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায় থেকে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী এসময় বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তাঁর সরকারের গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী কর্মসূচিসমূহের কথা তুলে ধরেন। সরকার ভবিষ্যতে এই এসএসএন কর্মসূচি আরো জোরদার করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রেস সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী ও জার্মান রাষ্ট্রদূতের মধ্যে যোগাযোগ সেক্টরে সহযোগিতার বিষয়েও কথা বলেন।
জার্মান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জার্মান বিনিয়োগকারীদের জন্য জমি বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আরো কতিপয় দেশকে ইতোমধ্যে শিল্প স্থাপনের জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেলের একটি বার্তা পৌঁছে দেন, যাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নতুন মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের সাফল্য কামনা করেন।
বার্তায় জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘আপনার দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আমি এ দেশের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।’
চ্যান্সেলর আরো বলেন, অংশীদারিত্বের চেতনা নিয়ে জার্মানি সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার পড়েছেন এবং বলেন, এই ইশতেহার বাস্তবায়নে তার দেশের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, শিগগিরই দু’টি জার্মান প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে।
পিটার ফাহরেনহোল্টেজ বলেন, বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর মতো বহু খাত রয়েছে।
তিনি সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্যের এবং হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক জার্মান কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তিনি জার্মানিতে বাংলাদেশী পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপকালে পিটার ফাহরেনহোল্টজ বলেন, তিনি তিন দিনের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে বিভিন্ন স্তরের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।